প্রকাশের তারিখ : ০৫ জুলাই ২০২৫
তারেক রহমান দেশে ফিরছেন কবে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র গুঞ্জন চলছে। যদিও দিনক্ষণ নির্দিষ্ট করে কেউ কিছু বলছেন না, তবে দলের শীর্ষ নেতারা বারবার আভাস দিচ্ছেন—“শিগগিরই তিনি ফিরবেন”।দলের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, আগস্ট মাসের শেষ নাগাদ তারেক রহমানের দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে সেটি এখনো চূড়ান্ত নয়। বর্ষাকাল ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে জুলাই-আগস্টের মধ্যে প্রত্যাবর্তনের পরিকল্পনায় কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এদিকে, ৩৬ দিনের গণ-অভ্যুত্থান কর্মসূচির মধ্যে বিএনপির বড় একটি সমাবেশের আয়োজনের পরিকল্পনাও রয়েছে, যেখানে তারেক রহমানের উপস্থিতির সম্ভাবনার কথাও শোনা যাচ্ছে।বিএনপির শীর্ষ নেতারা যেমন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ইতোমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন—“তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন।”রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তারেক রহমানের দেশে ফেরা দুটি রূপ নিতে পারে—একটি রাজসিক প্রত্যাবর্তন (নির্বাচনে জয়লাভ বা সরকার গঠনের সময়), আরেকটি সরকারের ওপর রাজনৈতিক চাপ তৈরির কৌশল হিসেবে।সম্প্রতি তারেক রহমান ও অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে লন্ডনে বৈঠক হয়, যেখানে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাব্য সময় উল্লেখ করা হয়েছে। সে হিসেবে তারেক রহমানের ফেরার সম্ভাব্য সময় হতে পারে তফসিল ঘোষণার আগে বা পরে।জানা গেছে, তারেক রহমান গুলশান-২ এর ১৯৬ নম্বর বাড়িতে থাকবেন, যেটি বর্তমানে সংস্কারাধীন। এই বাড়িটি তার মা বেগম খালেদা জিয়ার বরাদ্দকৃত এবং সম্প্রতি তা পুনরায় হস্তান্তর করা হয়েছে।২০০৭ সালের ৭ মার্চ গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০০৮ সালে তিনি লন্ডনে যান এবং এরপর প্রায় ১৭ বছর ধরে সেখানেই অবস্থান করছেন। তবে ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান এবং সরকার পতনের পর তিনি প্রায় সব মামলায় অব্যাহতি পেয়েছেন। বর্তমানে দেশে ফেরার জন্য তাঁর পথে কোনো সরকারি বাধা নেই, জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তারেক রহমানের দেশে ফেরা হলে বিএনপি এক বিশাল গণ-অভ্যর্থনার মাধ্যমে তা স্মরণীয় করে রাখতে চায়—‘তারেক রহমান বীরের বেশে, আসবে ফিরে বাংলাদেশে’—এই স্লোগান এখন দলীয় কর্মীদের মুখে মুখে।
কপিরাইট © ২০২৫ বাজিতপুর নিউজ । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত