বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
বাজিতপুর নিউজ

বাজিতপুর

তিন বছর পর বাজিতপুর পাবলিক লাইব্রেরি পুনরায় চালু

হাওরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা কেবল ভৌগোলিকভাবেই নয়, বরং শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও এক উজ্জ্বল নাম। জ্ঞান-পিপাসু ও সংস্কৃতিমনস্ক মানুষের এই জনপদে চিরকালই বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা হয়েছে গভীর আন্তরিকতায়। এ চর্চার প্রাণকেন্দ্র ছিলো বাজিতপুর পাবলিক লাইব্রেরি—একটি ঐতিহ্যবাহী পাঠাগার যা আজও বহন করে সেই ঐতিহ্যের দীপ্ত স্বাক্ষর।১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই লাইব্রেরির অবৈতনিক পরিচালক ছিলেন ননী গোপাল শর্মা। তাঁর নিবেদিত প্রাণ শ্রম ও নেতৃত্বে লাইব্রেরিটি কেবল একটি বইয়ের সংগ্রহশালা নয়, বরং হয়ে উঠেছিলো একটি জ্ঞান ও প্রগতির কেন্দ্রবিন্দু। তাঁর মৃত্যুর (২০২১ সালের আগস্টে) পর দায়িত্ব নেন রফিক মাস্টার। কিন্তু বছর দেড়েক পর তাঁরও অকালমৃত্যুতে লাইব্রেরিটি বন্ধ হয়ে যায়—প্রায় তিন বছর ধরে।এই বন্ধাবস্থার অবসান হলো অবশেষে। স্থানীয় সাহিত্যপ্রেমী, সাংবাদিক, প্রশাসনিক ও সামাজিক উদ্যোগে লাইব্রেরি পুনরায় চালুর দাবি জোরালো হয়। প্রশাসনের আশ্বাস ও সক্রিয় সহযোগিতায় অবশেষে একজন নতুন পরিচালক নিয়োগ পায় এবং শুরু হয় প্রস্তুতি ও সংস্কার কাজ।সবকিছু প্রস্তুত হওয়ার পর আজ ৮ জুলাই মঙ্গলবার ২০২৫, জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান লাইব্রেরির দরজা আবারও উন্মুক্ত করেন জনসাধারণের জন্য। উদ্বোধনী আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাজিতপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারাশিদ বিন এনাম, সেনাবাহিনীর দায়িত্বরত কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন নিবিড়, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক রমজান আলী, এনসিপির উপজেলা আহ্বায়ক রাহাগীর আলম মান্না, উপজেলা প্রকৌশলী বনি আমিন, পৌরসভা সহকারী প্রকৌশলী মোঃ নওশাদ আলম ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজুর রহমানসহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।এই পুনরুজ্জীবনের মাধ্যমে বাজিতপুরের সংস্কৃতি চর্চায় এক নতুন সূর্যোদয় ঘটেছে। পাঠকেরা আবারও ফিরে পাচ্ছেন তাদের জ্ঞানের আশ্রয়—বাজিতপুর পাবলিক লাইব্রেরি।

তিন বছর পর বাজিতপুর পাবলিক লাইব্রেরি পুনরায় চালু