হাড়কাঁপানো শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে কিশোরগঞ্জের হাওর জনপদ। আজ শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, নিকলীতে আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা রয়েছে পুরো উপজেলা। কুয়াশার তীব্রতায় দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে হাওরবেষ্টিত এই অঞ্চলে হিমেল বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা অন্যান্য এলাকার তুলনায় অনেক বেশি অনুভূত হচ্ছে।তীব্র এই শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ। ভোরে যারা কাজের সন্ধানে বের হন, কনকনে ঠান্ডায় তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। নিকলী বাজারের এক রিকশাচালক জানান, "বাতাসের কারণে রিকশা চালানো খুব কষ্টকর হয়ে পড়েছে। হাত-পা যেন বরফ হয়ে যাচ্ছে।"শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে নিকলী ও আশেপাশের এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগব্যাধি। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস:নিকলী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্র জানিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই এ অঞ্চলে তাপমাত্রা নিচের দিকে নামছে। ঘন কুয়াশার সাথে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা হিমেল বাতাসের কারণেই মূলত শীতের দাপট বেড়েছে। আগামী কয়েকদিন এই শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নিচ্ছেন। তবে সাধারণ মানুষের দাবি, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে শীতবস্ত্র বিতরণ আরও জোরদার করা প্রয়োজন।