বর্তমান সমাজে প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্কের কারণে অনেক ছেলে-মেয়ে হারাম থেকে বাঁচতে পালিয়ে বিয়ের পথে হাঁটে। তবে ইসলামি বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিবারের অজ্ঞাতে পালিয়ে বিয়ে করা শরীয়তের দৃষ্টিতে নিন্দনীয় ও অসামাজিক কাজ।বিয়ে সম্পর্কে ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি জানাতে গিয়ে আলেমরা বলেন, “বিবাহ একটি মহৎ ইবাদত। এটি নিছক সামাজিক কোনো রীতি নয়। তাই এত গুরুগম্ভীর বিষয়ে পরিবারের মতামত উপেক্ষা করে আবেগতাড়িত হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সঠিক নয়।”তাদের মতে, পরিবারের মুরুব্বিদের অগোচরে পালিয়ে বিয়ে করা শরীয়তের নীতি-আদর্শের পরিপন্থী। কারণ এখানে বাস্তবতা, অভিজ্ঞতা ও কাফায়াত (বর-কনের যোগ্যতা ও সমতা) গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ জায়গায় ভুল সিদ্ধান্ত জীবনকে বিপথগামী করতে পারে।পিতা-মাতা কখনোই সন্তানের অমঙ্গল চান না উল্লেখ করে আলেমরা বলেন, “অনেক সময় বাবা-মা সন্তানের কল্যাণ ও সামাজিক বাস্তবতা বিবেচনা করেই সময়মতো বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। অথচ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যারা প্রেম বা বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড সম্পর্কের মধ্যে জড়িয়ে পড়ে তারাই পালিয়ে বিয়ের দিকে ঝুঁকে থাকে।”শরীয়তের বিধান অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়ে যদি সাক্ষীর উপস্থিতিতে প্রস্তাব-গ্রহণের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করে, তবে বিয়েটি সহীহ হবে। কিন্তু পরিবারকে উপেক্ষা করে পালিয়ে বিয়ে করা গুরুতর অন্যায়, অমানবিক ও অসামাজিক কাজ বলে অভিহিত করা হয়।আলেমরা আরও বলেন, “যদি কেউ এমনটি করে থাকে, তবে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব পরিবারকে জানিয়ে তাদের মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।”