রোববার, ২৯ জুন ২০২৫
বাজিতপুর নিউজ

লাইফ স্টাইল

পেট খারাপ হলে কী খাবেন, কী খাবেন না: ঘরোয়া খাবারেই মিলবে আরাম

ChatGPT said:পেট খারাপ বা ডায়রিয়া—একদিকে যেমন অস্বস্তিকর, তেমনি দুর্বল করে ফেলা এক সমস্যা। চিকিৎসকরা বলছেন, সঠিক খাবার খেলে এই অস্বস্তি থেকে দ্রুতই মুক্তি মিলতে পারে। আর আমাদের দেশের অনেক পুরনো টোটকাই এই মুহূর্তে হয়ে উঠতে পারে কার্যকর চিকিৎসা। যে খাবারে পেট থাকবে ঠান্ডা শিং মাছের ঝোল ও কাঁচকলার তরকারি: পেট খারাপের পুরনো টোটকা। শিং মাছের প্রোটিন ও কাঁচকলার আঁশ অন্ত্রের কর্মক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। টক দই বা কেফির: দইয়ের প্রোবায়োটিক অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়া ফিরিয়ে আনে। তবে দই খাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন—ডায়রিয়া একটু কমলে তবেই খান। ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু হলে এড়িয়ে চলুন। সিদ্ধ গাজর ও ঝিঙে: সৌম্য আঁশের উৎস। পাতলা মল ঘন করতে সাহায্য করে। আলু (সিদ্ধ বা ভাপে): সহজে হজম হয়, পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। ভাজা বা ঝাল নয়—সিদ্ধ করে খান। ওটস: দ্রবণীয় আঁশে ভরপুর। অন্ত্রের গতি কমায়, মল ঘন করে। সাদা চাল: দ্রবণীয় আঁশ কম থাকায় হজমে সহায়ক। পেট খারাপের সময় বাদামি চাল এড়িয়ে চলুন। কলা: পটাসিয়াম ও ‘পেকটিন’ থাকায় অন্ত্রের জন্য আদর্শ। অ্যাপলসস (সিদ্ধ করে চটকে বানানো আপেল): মিষ্টি ঝোলজাতীয় খাবার, যা গ্যাস ও অস্বস্তি কমায়। মুরগির বা হাড়ের ঝোল: পানিশূন্যতা রোধ করে, ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখে। চর্বিহীন প্রোটিন: সেদ্ধ ডিম, মুরগি বা টার্কি—শক্তি ও কোষ মেরামতের জন্য দরকারি। চর্বিযুক্ত খাবার নয়। যা খাবেন না দুধ বা দুধজাত খাবার (যদি ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু হন) অতিরিক্ত আঁশযুক্ত সবজি (মটরশুঁটি, কাঁচা বাঁধাকপি) ভাজা ও তেলচিটে খাবার মসলা বা ঝালযুক্ত খাবার কফি, চা, কোমল পানীয় ও অ্যালকোহল চিকিৎসকের কাছে কবে যাবেন? নিচের যেকোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলে দেরি করবেন না— ডায়রিয়া ৩ দিনের বেশি স্থায়ী হলে পায়খানায় রক্ত মাথা ঘোরা, গা শুকিয়ে যাওয়া জ্বর, পেট বা বুকব্যথা দ্রুত ওজন কমে যাওয়া বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস বা নতুন ওষুধ সেবনের পর শুরু হওয়া ডায়রিয়া শেষ কথা পেট খারাপ মানেই শুধু ওষুধ নয়। ঘরোয়া উপাদান, সহজ খাবার আর সামান্য সচেতনতাতেই মিলতে পারে আরাম। শরীর যা বলছে, তা শুনুন। আর বাড়াবাড়ি হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

পেট খারাপ হলে কী খাবেন, কী খাবেন না: ঘরোয়া খাবারেই মিলবে আরাম