
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তরপত্র প্যাকিংয়ে ধারাবাহিক গাফিলতি এবং পদ্ধতিগত ভুলের কারণে ফল প্রকাশে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রগুলোকে কড়া ভাষায় সতর্ক করেছে এবং ভবিষ্যতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তর থেকে সম্প্রতি কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশে পাঠানো এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোর্স কোড অনুযায়ী আলাদা করে উত্তরপত্র প্যাকেট তৈরি করতে হবে। কোনোভাবেই এক কোর্সের উত্তরপত্র অন্য কোর্সের সঙ্গে মেশানো যাবে না।
নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়, বারবার দেখা যাচ্ছে যে বান্ডেলের লেভেলে দেওয়া কোর্স কোড ও বিষয়ভিত্তিক তথ্যের সঙ্গে ভিতরের উত্তরপত্রের মিল থাকে না। এতে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষকদের উত্তরপত্র ফেরত পাঠাতে হয়, যার ফলে ফল প্রস্তুতের কাজ ব্যাহত হচ্ছে এবং ফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. এনামুল করিম স্বাক্ষরিত এই নির্দেশনায় স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, এ ধরনের ভুলের জন্য কেন্দ্রের অধ্যক্ষ বা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেই দায়ী করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে, রেজিস্ট্রেশন নম্বর সম্বলিত কোনো টপশিট উত্তরপত্র বা বান্ডেলের মধ্যে রাখা যাবে না। একইসাথে পরীক্ষার্থীদের রোল নম্বর অনুযায়ী হাজিরাপত্র (স্বাক্ষর লিপি) বিষয়ভিত্তিকভাবে আলাদা করে কভার পৃষ্ঠাসহ বাঁধাই করে পাঠাতে হবে। সেই কভারে অবশ্যই কেন্দ্রের নাম, কোড ও কোর্সের নাম সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। এসব হাজিরাপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি (পাস) ও সার্টিফিকেট ২য় বর্ষ শাখায় নির্ধারিত সাত দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, অনেক কেন্দ্র থেকে নিয়মিতভাবে বান্ডেল যথাযথভাবে প্রস্তুত না হওয়ায় ফল প্রকাশে দেরি হচ্ছে, যা শুধু পরীক্ষকদের নয়, পরীক্ষার্থীদের মধ্যেও ব্যাপক হতাশা সৃষ্টি করছে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তর জানায়, ভবিষ্যতে যদি কেন্দ্রগুলো এই অব্যবস্থাপনা বন্ধ না করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ছাত্রস্বার্থে সময়মতো সঠিক ফল প্রকাশ নিশ্চিত করতেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ নির্দেশনা জারি করেছে।
বিষয় : শিক্ষা
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৩ জুন ২০২৫
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তরপত্র প্যাকিংয়ে ধারাবাহিক গাফিলতি এবং পদ্ধতিগত ভুলের কারণে ফল প্রকাশে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রগুলোকে কড়া ভাষায় সতর্ক করেছে এবং ভবিষ্যতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তর থেকে সম্প্রতি কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশে পাঠানো এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোর্স কোড অনুযায়ী আলাদা করে উত্তরপত্র প্যাকেট তৈরি করতে হবে। কোনোভাবেই এক কোর্সের উত্তরপত্র অন্য কোর্সের সঙ্গে মেশানো যাবে না।
নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়, বারবার দেখা যাচ্ছে যে বান্ডেলের লেভেলে দেওয়া কোর্স কোড ও বিষয়ভিত্তিক তথ্যের সঙ্গে ভিতরের উত্তরপত্রের মিল থাকে না। এতে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষকদের উত্তরপত্র ফেরত পাঠাতে হয়, যার ফলে ফল প্রস্তুতের কাজ ব্যাহত হচ্ছে এবং ফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. এনামুল করিম স্বাক্ষরিত এই নির্দেশনায় স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, এ ধরনের ভুলের জন্য কেন্দ্রের অধ্যক্ষ বা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেই দায়ী করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে, রেজিস্ট্রেশন নম্বর সম্বলিত কোনো টপশিট উত্তরপত্র বা বান্ডেলের মধ্যে রাখা যাবে না। একইসাথে পরীক্ষার্থীদের রোল নম্বর অনুযায়ী হাজিরাপত্র (স্বাক্ষর লিপি) বিষয়ভিত্তিকভাবে আলাদা করে কভার পৃষ্ঠাসহ বাঁধাই করে পাঠাতে হবে। সেই কভারে অবশ্যই কেন্দ্রের নাম, কোড ও কোর্সের নাম সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। এসব হাজিরাপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি (পাস) ও সার্টিফিকেট ২য় বর্ষ শাখায় নির্ধারিত সাত দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, অনেক কেন্দ্র থেকে নিয়মিতভাবে বান্ডেল যথাযথভাবে প্রস্তুত না হওয়ায় ফল প্রকাশে দেরি হচ্ছে, যা শুধু পরীক্ষকদের নয়, পরীক্ষার্থীদের মধ্যেও ব্যাপক হতাশা সৃষ্টি করছে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তর জানায়, ভবিষ্যতে যদি কেন্দ্রগুলো এই অব্যবস্থাপনা বন্ধ না করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ছাত্রস্বার্থে সময়মতো সঠিক ফল প্রকাশ নিশ্চিত করতেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ নির্দেশনা জারি করেছে।
আপনার মতামত লিখুন