
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার গাজিরচর ইউনিয়নের সাদিরচর এলাকায় আজ ২৭ই জুন শুক্রবার জুমার নামাজের পর স্থানীয় জনসাধারণ এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের প্রত্যয়ে শত শত মুসল্লি ঐক্যবদ্ধভাবে বের করেন এক শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল।
মিছিলটি শুরু হয় স্থানীয় মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে এবং শেষ হয় ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত রুবেলের বাড়ির সামনে। সেখানেই এলাকাবাসী সরাসরি রুবেলের সঙ্গে সংলাপে বসে তাকে মাদক ব্যবসা ত্যাগের আহ্বান জানান।
চাপের মুখে রুবেল জনসম্মুখে ঘোষণা দেন—
“আজকের পর থেকে আর কখনো মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকব না। আমি সুস্থ পথে ফিরে আসতে চাই।”
এই ঘোষণার পর এলাকাবাসী তাকে সাধুবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে ভালো পথে চলার জন্য উৎসাহ দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, তরুণ সমাজের প্রতিনিধিরা ও সমাজসচেতন জনগণ।
তারা জানান, এই উদ্যোগ কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, বরং এটি জনসচেতনতামূলক একটি সামাজিক প্রতিবাদ যা অন্য মাদক বিক্রেতাদের জন্য একটি শক্ত বার্তা হয়ে উঠবে।
স্থানীয় গাজিরচর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজিজুর রহমান ভূইয়া বলেন,
“মাদক একজনকে নয়, পুরো সমাজকে ধ্বংস করে। আমরা এই অভিশাপ থেকে আমাদের গ্রামকে মুক্ত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”
তরুণরাও একসঙ্গে বলেন,
“সাদিরচর মাদকমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ লড়াই থামবে না।”
এলাকাবাসীর এমন উদ্যোগ এখন সামাজিক মাধ্যমে প্রশংসিত হচ্ছে। এটি প্রমাণ করছে—সঠিক নেতৃত্ব ও সম্মিলিত চেষ্টায় সমাজ থেকে যে কোনো ব্যাধি দূর করা সম্ভব।
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৭ জুন ২০২৫
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার গাজিরচর ইউনিয়নের সাদিরচর এলাকায় আজ ২৭ই জুন শুক্রবার জুমার নামাজের পর স্থানীয় জনসাধারণ এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের প্রত্যয়ে শত শত মুসল্লি ঐক্যবদ্ধভাবে বের করেন এক শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল।
মিছিলটি শুরু হয় স্থানীয় মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে এবং শেষ হয় ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত রুবেলের বাড়ির সামনে। সেখানেই এলাকাবাসী সরাসরি রুবেলের সঙ্গে সংলাপে বসে তাকে মাদক ব্যবসা ত্যাগের আহ্বান জানান।
চাপের মুখে রুবেল জনসম্মুখে ঘোষণা দেন—
“আজকের পর থেকে আর কখনো মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকব না। আমি সুস্থ পথে ফিরে আসতে চাই।”
এই ঘোষণার পর এলাকাবাসী তাকে সাধুবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে ভালো পথে চলার জন্য উৎসাহ দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, তরুণ সমাজের প্রতিনিধিরা ও সমাজসচেতন জনগণ।
তারা জানান, এই উদ্যোগ কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, বরং এটি জনসচেতনতামূলক একটি সামাজিক প্রতিবাদ যা অন্য মাদক বিক্রেতাদের জন্য একটি শক্ত বার্তা হয়ে উঠবে।
স্থানীয় গাজিরচর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজিজুর রহমান ভূইয়া বলেন,
“মাদক একজনকে নয়, পুরো সমাজকে ধ্বংস করে। আমরা এই অভিশাপ থেকে আমাদের গ্রামকে মুক্ত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”
তরুণরাও একসঙ্গে বলেন,
“সাদিরচর মাদকমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ লড়াই থামবে না।”
এলাকাবাসীর এমন উদ্যোগ এখন সামাজিক মাধ্যমে প্রশংসিত হচ্ছে। এটি প্রমাণ করছে—সঠিক নেতৃত্ব ও সম্মিলিত চেষ্টায় সমাজ থেকে যে কোনো ব্যাধি দূর করা সম্ভব।
আপনার মতামত লিখুন