
গাজিরচর ইউনিয়নের শাহজালাল বাজারে গেলে এখনো চোখে পড়ে এক দৃশ্য—দুই টাকায় সিঙ্গারা, দুই টাকায় পেঁয়াজু আর রুটির সঙ্গে ফ্রি ডাল। এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের নেপথ্য নায়ক বাদশা মিয়া। গত ২৫ বছর ধরে তিনি অটলভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন এই খাবার বিক্রয়।
বাদশা মিয়ার দোকানে এখনো মাত্র দুই টাকায় মেলে সিঙ্গারা-পেঁয়াজু। যদিও গত দুবছর ধরে ডালের জন্য কিছু টাকা নিচ্ছেন, তবুও তার সাশ্রয়ী খাবারের তালিকা আজও গরিব-মেহনতি মানুষের ভরসার প্রতীক।
তিনি গত ২৫ বছর ধরে মাত্র দুই টাকায় বিক্রি করে যাচ্ছেন সিঙ্গারা ও পেয়াজু—যা এখন শুধু খাবার নয়, স্থানীয়দের কাছে এক প্রকার ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয়দের মতে,
“এমন দাম আর কোথাও নেই। এটা শুধু ব্যবসা না, এটা আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের ইতিহাস।”
সিঙ্গারার সাইজ হয়তো একটু ছোট, কিন্তু স্বাদে কোনও কমতি নেই। খোসা পাতলা, ভেতরে নরম পুর।
একজন গ্রাহক হাসতে হাসতে বলেন,
“এই দামে এখন ঢাকায় এক কাপ চা পাওয়া যায় না, আর উনি ২৫ বছর ধরে একই দামে সিঙ্গারা দিচ্ছেন!”
বাদশা মিয়া নিজে বলেন,
“সবাই খেতে পারে, এই চেষ্টাই করি। লাভ না হলেও শান্তি পাই।”
বাজারে প্রতিদিনের ভিড় প্রমাণ করে, মানুষের হৃদয়ে কতটা জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। তার এই উদ্যোগ শুধু ব্যবসা নয়, মানবিকতা আর কমিউনিটির প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ।
এই যুগে যেখানে ৫ টাকায় কিছুই পাওয়া যায় না, সেখানে দুই টাকায় সিঙ্গারা-পেয়াজুর মতো নরম স্মৃতি বেচে চলেছেন বাদশা মিয়া। হয়তো তিনি বাংলাদেশের রাস্তাঘাটে ছড়িয়ে থাকা হাজারো গল্পের এক নীরব নায়ক।
তরুণরা বলছেন,
“আমরা চাই এই রকম বাদশা মিয়া দেশের প্রতিটি গ্রামে থাকুক।”
এককথায়, বাদশা মিয়ার এই ছোট্ট দোকান এখন শুধু খাবারের নয়, সামাজিক মূল্যবোধ আর মানবিকতারও প্রতীক।
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৭ জুন ২০২৫
গাজিরচর ইউনিয়নের শাহজালাল বাজারে গেলে এখনো চোখে পড়ে এক দৃশ্য—দুই টাকায় সিঙ্গারা, দুই টাকায় পেঁয়াজু আর রুটির সঙ্গে ফ্রি ডাল। এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের নেপথ্য নায়ক বাদশা মিয়া। গত ২৫ বছর ধরে তিনি অটলভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন এই খাবার বিক্রয়।
বাদশা মিয়ার দোকানে এখনো মাত্র দুই টাকায় মেলে সিঙ্গারা-পেঁয়াজু। যদিও গত দুবছর ধরে ডালের জন্য কিছু টাকা নিচ্ছেন, তবুও তার সাশ্রয়ী খাবারের তালিকা আজও গরিব-মেহনতি মানুষের ভরসার প্রতীক।
তিনি গত ২৫ বছর ধরে মাত্র দুই টাকায় বিক্রি করে যাচ্ছেন সিঙ্গারা ও পেয়াজু—যা এখন শুধু খাবার নয়, স্থানীয়দের কাছে এক প্রকার ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয়দের মতে,
“এমন দাম আর কোথাও নেই। এটা শুধু ব্যবসা না, এটা আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের ইতিহাস।”
সিঙ্গারার সাইজ হয়তো একটু ছোট, কিন্তু স্বাদে কোনও কমতি নেই। খোসা পাতলা, ভেতরে নরম পুর।
একজন গ্রাহক হাসতে হাসতে বলেন,
“এই দামে এখন ঢাকায় এক কাপ চা পাওয়া যায় না, আর উনি ২৫ বছর ধরে একই দামে সিঙ্গারা দিচ্ছেন!”
বাদশা মিয়া নিজে বলেন,
“সবাই খেতে পারে, এই চেষ্টাই করি। লাভ না হলেও শান্তি পাই।”
বাজারে প্রতিদিনের ভিড় প্রমাণ করে, মানুষের হৃদয়ে কতটা জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। তার এই উদ্যোগ শুধু ব্যবসা নয়, মানবিকতা আর কমিউনিটির প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ।
এই যুগে যেখানে ৫ টাকায় কিছুই পাওয়া যায় না, সেখানে দুই টাকায় সিঙ্গারা-পেয়াজুর মতো নরম স্মৃতি বেচে চলেছেন বাদশা মিয়া। হয়তো তিনি বাংলাদেশের রাস্তাঘাটে ছড়িয়ে থাকা হাজারো গল্পের এক নীরব নায়ক।
তরুণরা বলছেন,
“আমরা চাই এই রকম বাদশা মিয়া দেশের প্রতিটি গ্রামে থাকুক।”
এককথায়, বাদশা মিয়ার এই ছোট্ট দোকান এখন শুধু খাবারের নয়, সামাজিক মূল্যবোধ আর মানবিকতারও প্রতীক।
আপনার মতামত লিখুন