
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ব্যক্তিগত সহকারী ইউনুস আলীর ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে ভয়াবহ চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরের দল পরিবারের সদস্যদের অচেতন করে তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও নগদ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে গেছে।
শুক্রবার (২৭ জুন) গভীর রাতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের জাফরটলি গ্রামে এই চুরির ঘটনা ঘটে। একই রাতে পাশের বাড়ি, ইউনুস আলীর প্রতিবেশী মতিউর রহমানের বাড়িতেও চুরি হয়। ঘটনার সময় ইউনুস আলী বাড়িতে ছিলেন না।
চুরির সময় পরিবারের সদস্যদের শরীরে চেতনানাশক ওষুধ ছিটানো হয় বলে জানা গেছে। ভোরে প্রতিবেশীদের ডাকাডাকিতে ঘুম ভাঙে পরিবারের সদস্যদের। গেটের বাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কাগজপত্র ও ভাঙা আলমারি দেখে চুরির বিষয়টি স্পষ্ট হয়।
ইউনুস আলীর ভাই আশরাফুল ইসলাম জানান, “চোরেরা তিনটি ঘরে ঢুকে আলমারি ভেঙে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে রেখে যায়।”
ইউনুস আলীর বাবা বলেন, “চোরেরা আমার ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয়। ফজরের নামাজে যেতে পারছিলাম না। পরে চিৎকার করলে লোকজন এসে দরজা খুলে দেয়।”
এদিকে প্রতিবেশী মতিউর রহমানের বাড়িতেও একই পদ্ধতিতে চুরি হয়েছে। তার স্ত্রী সালেহা বেগম বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম ইউনুস ভাইয়ের পরিচয়ে নিরাপদে আছি। এখন মনে হচ্ছে আমরা কেউই নিরাপদ নই।”
স্থানীয়রা মনে করছেন, একজন জাতীয় নেতার ব্যক্তিগত সহকারীর বাড়িতে এমন চুরি হলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কতটা দুর্বল তা নতুন করে ভাবিয়ে তুলছে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি শওকত আলী সরকার বলেন, “আমরা দু’বার ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন। আমরা তদন্ত শুরু করেছি এবং চোরদের দ্রুত শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বিষয় : জাতীয়
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৭ জুন ২০২৫
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ব্যক্তিগত সহকারী ইউনুস আলীর ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে ভয়াবহ চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরের দল পরিবারের সদস্যদের অচেতন করে তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও নগদ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে গেছে।
শুক্রবার (২৭ জুন) গভীর রাতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের জাফরটলি গ্রামে এই চুরির ঘটনা ঘটে। একই রাতে পাশের বাড়ি, ইউনুস আলীর প্রতিবেশী মতিউর রহমানের বাড়িতেও চুরি হয়। ঘটনার সময় ইউনুস আলী বাড়িতে ছিলেন না।
চুরির সময় পরিবারের সদস্যদের শরীরে চেতনানাশক ওষুধ ছিটানো হয় বলে জানা গেছে। ভোরে প্রতিবেশীদের ডাকাডাকিতে ঘুম ভাঙে পরিবারের সদস্যদের। গেটের বাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কাগজপত্র ও ভাঙা আলমারি দেখে চুরির বিষয়টি স্পষ্ট হয়।
ইউনুস আলীর ভাই আশরাফুল ইসলাম জানান, “চোরেরা তিনটি ঘরে ঢুকে আলমারি ভেঙে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে রেখে যায়।”
ইউনুস আলীর বাবা বলেন, “চোরেরা আমার ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয়। ফজরের নামাজে যেতে পারছিলাম না। পরে চিৎকার করলে লোকজন এসে দরজা খুলে দেয়।”
এদিকে প্রতিবেশী মতিউর রহমানের বাড়িতেও একই পদ্ধতিতে চুরি হয়েছে। তার স্ত্রী সালেহা বেগম বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম ইউনুস ভাইয়ের পরিচয়ে নিরাপদে আছি। এখন মনে হচ্ছে আমরা কেউই নিরাপদ নই।”
স্থানীয়রা মনে করছেন, একজন জাতীয় নেতার ব্যক্তিগত সহকারীর বাড়িতে এমন চুরি হলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কতটা দুর্বল তা নতুন করে ভাবিয়ে তুলছে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি শওকত আলী সরকার বলেন, “আমরা দু’বার ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন। আমরা তদন্ত শুরু করেছি এবং চোরদের দ্রুত শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আপনার মতামত লিখুন