
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান-সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারে কারসাজির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ অনুযায়ী, আসামিরা মিলে ২৫৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৮ জুন), দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, মামলার আসামিরা ‘পরস্পর যোগসাজশে’ একটি চক্র গঠন করে পুঁজিবাজারে কারসাজি চালিয়ে এ বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
সাকিব আল হাসান
আবুল খায়ের ওরফে হিরু (উপ-নিবন্ধক, সমবায় অধিদপ্তর)
তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান
আবুল কালাম মাদবর, কনিকা আফরোজ, মোহাম্মদ বাশার, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজী ফুয়াদ হাসান, কাজী ফরিদ হাসান, শিরিন আক্তার, জাভেদ এ মতিন, মো. জাহেদ কামাল, মো. হুমায়ুন কবির, তানভির নিজাম
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা বিনিয়োগ সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করে বিও অ্যাকাউন্টে প্রতারণামূলক ফাটকা লেনদেনের মাধ্যমে শেয়ারের কৃত্রিম দাম বাড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতারণার মাধ্যমে প্রলুব্ধ করতেন।
এইভাবে তারা ২৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ৩০৪ টাকা অবৈধভাবে আত্মসাৎ করেন, যা অস্বাভাবিক মূলধন লাভ হিসেবে দেখানো হয়।
এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, হিরু তার স্ত্রীর সহায়তায় ২৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা মানি লন্ডারিং করেছেন এবং তার নামে থাকা ১৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৫৪২ কোটি টাকার বেশি সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে।
সাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স এবং সোনালী পেপারস-এর কারসাজিকৃত শেয়ারে বিনিয়োগ করে ২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা লাভ করেন, যা আসলে ‘অপরাধলব্ধ আয়’।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে।
এক সময় বিএসইসি ও দুদকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন সাকিব।
২০২৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
তবে আগস্টে সরকারের পতনের পর কানাডায় অবস্থানকালেই তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে জুয়ার ব্যবসা, স্বর্ণ চোরাচালান, কাঁকড়া ব্যবসায়ীদের প্রতারণা, এমনকি সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকে আবেদন জমা পড়ে।
২০২৩ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) তার ব্যাংক হিসাব জব্দ করে।
বিষয় : দুদক মামলা সাকিব আল হাসান
রোববার, ২৯ জুন ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৮ জুন ২০২৫
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান-সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারে কারসাজির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ অনুযায়ী, আসামিরা মিলে ২৫৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৮ জুন), দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, মামলার আসামিরা ‘পরস্পর যোগসাজশে’ একটি চক্র গঠন করে পুঁজিবাজারে কারসাজি চালিয়ে এ বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
সাকিব আল হাসান
আবুল খায়ের ওরফে হিরু (উপ-নিবন্ধক, সমবায় অধিদপ্তর)
তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান
আবুল কালাম মাদবর, কনিকা আফরোজ, মোহাম্মদ বাশার, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজী ফুয়াদ হাসান, কাজী ফরিদ হাসান, শিরিন আক্তার, জাভেদ এ মতিন, মো. জাহেদ কামাল, মো. হুমায়ুন কবির, তানভির নিজাম
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা বিনিয়োগ সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করে বিও অ্যাকাউন্টে প্রতারণামূলক ফাটকা লেনদেনের মাধ্যমে শেয়ারের কৃত্রিম দাম বাড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতারণার মাধ্যমে প্রলুব্ধ করতেন।
এইভাবে তারা ২৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ৩০৪ টাকা অবৈধভাবে আত্মসাৎ করেন, যা অস্বাভাবিক মূলধন লাভ হিসেবে দেখানো হয়।
এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, হিরু তার স্ত্রীর সহায়তায় ২৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা মানি লন্ডারিং করেছেন এবং তার নামে থাকা ১৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৫৪২ কোটি টাকার বেশি সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে।
সাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স এবং সোনালী পেপারস-এর কারসাজিকৃত শেয়ারে বিনিয়োগ করে ২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা লাভ করেন, যা আসলে ‘অপরাধলব্ধ আয়’।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে।
এক সময় বিএসইসি ও দুদকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন সাকিব।
২০২৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
তবে আগস্টে সরকারের পতনের পর কানাডায় অবস্থানকালেই তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে জুয়ার ব্যবসা, স্বর্ণ চোরাচালান, কাঁকড়া ব্যবসায়ীদের প্রতারণা, এমনকি সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকে আবেদন জমা পড়ে।
২০২৩ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) তার ব্যাংক হিসাব জব্দ করে।
আপনার মতামত লিখুন