
কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে চাল ও সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তাদের কষ্ট বেড়েছে। ঈদের পর থেকে বাজারে কিছু মুরগির দাম কমলেও চাল ও সবজির বাজারে সেই স্বস্তির ছোঁয়া নেই। বিশেষ করে মধ্য ও নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য বেড়ে গেছে নিত্য খরচের চাপ।
চালের বাজারে অস্থিরতা
ঈদের আগে যেসব চাল ৭২-৭৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছিল, সেই চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৬ থেকে ৮২ টাকা কেজিতে। মিনিকেট, নাজিরশাইল, ব্রি-২৮ থেকে শুরু করে বাসমতি ও সুগন্ধি চালের দামও ঊর্ধ্বমুখী। বাজারে মিনিকেট কেজিপ্রতি ৮২ টাকা পর্যন্ত উঠেছে, আর বাসমতি চালের দাম ৮৮ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৪ টাকা।
বিক্রেতারা বলছেন, চালকল মালিকদের কাছ থেকে বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে। আর মিল মালিকদের বক্তব্য, ধানের দাম বাড়ার কারণে চালের দামও বেড়েছে।
সবজি দামে আগুন
গরমকালীন সবজিগুলোতেও অস্থিরতা। করলা কেজিতে ৯০-১০০ টাকা, ঢেঁড়স-চিচিঙ্গা-ঝিঙা ৬০ টাকা, পটল ৮০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। এক হালি লেবুর দাম ২৫ থেকে ৪০ টাকা, যা কিছুদিন আগেও ছিল মাত্র ১০-২০ টাকা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শাকসবজি, আদা-রসুন এমনকি পেঁয়াজের দামও আগের তুলনায় বাড়তি। বড় রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকায়, আর আদা ১১০-১৭০ টাকার মধ্যে উঠানামা করছে।
মুরগির বাজারে কিছুটা স্বস্তি
ঈদের পর সোনালি মুরগির দাম কমে কেজিপ্রতি ৩০০ টাকায় এসেছে, যা আগে ছিল ৩৪০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম কমে হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি। দেশি মুরগি কিছুটা কমলেও এখনো তা কেজি প্রতি ৫৮০-৬২০ টাকার মধ্যে রয়েছে। তবে লেয়ার মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়ে গেছে।
ডিমের বাজারেও ওঠানামা
সাদা ও লাল লেয়ার ডিম এখন ১২০-১২৫ টাকা ডজন দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি ডিমের দাম ২২০ টাকা ডজন। হাঁসের ডিম ২০০-২১০ টাকা এবং কোয়েলের ডিম ৫০ টাকা ডজন দরে পাওয়া যাচ্ছে।
ভোক্তাদের ক্ষোভ
মোহাম্মদপুরে বাজার করতে আসা এক কর্মজীবী সৌরভ মণ্ডল বলেন, “শুক্রবারে বাজারে গেলেই সবজির দাম হঠাৎ করে ২০-৫০ টাকা বেড়ে যায়। সপ্তাহজুড়েই দাম বেশি, তার ওপর শুক্রবারে বাড়তি বোঝা।”
অন্যদিকে একজন কেয়ারটেকার জানালেন, মোটা চাল ৫০ টাকায় কিনলেও এখন তা ৫৮ টাকা দিতে হচ্ছে। তার কথায়, “প্রতি কেজিতে ৬ টাকা বাড়লে মাসের শেষে তো আর চাল কিনেই বাঁচা যাবে না।”
প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা
ভোক্তারা মনে করছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত বাজার মনিটরিং জোরদার করা, বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে নজর দেওয়া। জনসাধারণের স্বস্তি ফেরাতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক নজরদারি জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিষয় : বাজারে সবজি দাম মুরগির দাম চালের দাম
রোববার, ২৯ জুন ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৮ জুন ২০২৫
কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে চাল ও সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তাদের কষ্ট বেড়েছে। ঈদের পর থেকে বাজারে কিছু মুরগির দাম কমলেও চাল ও সবজির বাজারে সেই স্বস্তির ছোঁয়া নেই। বিশেষ করে মধ্য ও নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য বেড়ে গেছে নিত্য খরচের চাপ।
চালের বাজারে অস্থিরতা
ঈদের আগে যেসব চাল ৭২-৭৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছিল, সেই চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৬ থেকে ৮২ টাকা কেজিতে। মিনিকেট, নাজিরশাইল, ব্রি-২৮ থেকে শুরু করে বাসমতি ও সুগন্ধি চালের দামও ঊর্ধ্বমুখী। বাজারে মিনিকেট কেজিপ্রতি ৮২ টাকা পর্যন্ত উঠেছে, আর বাসমতি চালের দাম ৮৮ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৪ টাকা।
বিক্রেতারা বলছেন, চালকল মালিকদের কাছ থেকে বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে। আর মিল মালিকদের বক্তব্য, ধানের দাম বাড়ার কারণে চালের দামও বেড়েছে।
সবজি দামে আগুন
গরমকালীন সবজিগুলোতেও অস্থিরতা। করলা কেজিতে ৯০-১০০ টাকা, ঢেঁড়স-চিচিঙ্গা-ঝিঙা ৬০ টাকা, পটল ৮০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। এক হালি লেবুর দাম ২৫ থেকে ৪০ টাকা, যা কিছুদিন আগেও ছিল মাত্র ১০-২০ টাকা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শাকসবজি, আদা-রসুন এমনকি পেঁয়াজের দামও আগের তুলনায় বাড়তি। বড় রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকায়, আর আদা ১১০-১৭০ টাকার মধ্যে উঠানামা করছে।
মুরগির বাজারে কিছুটা স্বস্তি
ঈদের পর সোনালি মুরগির দাম কমে কেজিপ্রতি ৩০০ টাকায় এসেছে, যা আগে ছিল ৩৪০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম কমে হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি। দেশি মুরগি কিছুটা কমলেও এখনো তা কেজি প্রতি ৫৮০-৬২০ টাকার মধ্যে রয়েছে। তবে লেয়ার মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়ে গেছে।
ডিমের বাজারেও ওঠানামা
সাদা ও লাল লেয়ার ডিম এখন ১২০-১২৫ টাকা ডজন দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি ডিমের দাম ২২০ টাকা ডজন। হাঁসের ডিম ২০০-২১০ টাকা এবং কোয়েলের ডিম ৫০ টাকা ডজন দরে পাওয়া যাচ্ছে।
ভোক্তাদের ক্ষোভ
মোহাম্মদপুরে বাজার করতে আসা এক কর্মজীবী সৌরভ মণ্ডল বলেন, “শুক্রবারে বাজারে গেলেই সবজির দাম হঠাৎ করে ২০-৫০ টাকা বেড়ে যায়। সপ্তাহজুড়েই দাম বেশি, তার ওপর শুক্রবারে বাড়তি বোঝা।”
অন্যদিকে একজন কেয়ারটেকার জানালেন, মোটা চাল ৫০ টাকায় কিনলেও এখন তা ৫৮ টাকা দিতে হচ্ছে। তার কথায়, “প্রতি কেজিতে ৬ টাকা বাড়লে মাসের শেষে তো আর চাল কিনেই বাঁচা যাবে না।”
প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা
ভোক্তারা মনে করছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত বাজার মনিটরিং জোরদার করা, বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে নজর দেওয়া। জনসাধারণের স্বস্তি ফেরাতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক নজরদারি জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আপনার মতামত লিখুন