
কিশোরগঞ্জ জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাব্যবস্থা বর্তমানে এক সংকটজনক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জেলার মোট ১ হাজার ৩২৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৭৪৬টি বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক, যা শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে।
জেলার অর্ধেকেরও বেশি স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেই
সহকারী শিক্ষকরা প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পাঠদানে হিমশিম খাচ্ছেন
চার শতাধিক সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য
নিকলী উপজেলার রোদারপুড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছয় বছর ধরে প্রধান শিক্ষক ছাড়া চলছে। একই উপজেলার কুর্শা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই বছর ধরে কোনো প্রধান শিক্ষক নেই। শিক্ষার্থীরা রয়েছে ন্যূনতম তত্ত্বাবধান ও শৃঙ্খলার অভাবে। সহকারী শিক্ষকরা জানিয়েছেন, প্রধান শিক্ষক না থাকায় তারা প্রশাসনিক কাজ, মিডডে মিল, শিক্ষাবিষয়ক মিটিং, মূল্যায়ন ও রিপোর্ট তৈরির মতো অতিরিক্ত দায়িত্বে জর্জরিত—ফলে পাঠদানে মনোযোগ দেওয়া অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
একজন সহকারী শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,
“প্রধান শিক্ষক না থাকলে স্কুল মানে হচ্ছে একপ্রকার ‘অর্থডক্স বেসরকারি ম্যানেজমেন্ট’। আমরা ক্লাস পড়াই, আবার সরকারি ফাইল-ফোল্ডারও সামলাই।”
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জানিয়েছেন,
“বিষয়টি বারবার মন্ত্রণালয়কে জানানো হচ্ছে। আমরা আশাবাদী, অচিরেই প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ সম্পন্ন হবে।”
প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য: ৭৪৬টি বিদ্যালয়
সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য: ৪০২টি
সহকারী শিক্ষক ও অভিভাবকদের জোর দাবি,
“প্রধান শিক্ষকহীন বিদ্যালয় শিক্ষার স্বাভাবিক গতি রোধ করছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া বিলম্ব হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মৌলিক শিক্ষা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
এদিকে জেলা পর্যায়ে শিক্ষা সচেতন নাগরিকরা বলছেন—যত দ্রুত সম্ভব প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ না হলে শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হওয়ার পাশাপাশি সরকারি বিনিয়োগও বিফলে যাবে।
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ৩০ জুন ২০২৫
কিশোরগঞ্জ জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাব্যবস্থা বর্তমানে এক সংকটজনক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জেলার মোট ১ হাজার ৩২৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৭৪৬টি বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক, যা শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে।
জেলার অর্ধেকেরও বেশি স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেই
সহকারী শিক্ষকরা প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পাঠদানে হিমশিম খাচ্ছেন
চার শতাধিক সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য
নিকলী উপজেলার রোদারপুড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছয় বছর ধরে প্রধান শিক্ষক ছাড়া চলছে। একই উপজেলার কুর্শা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই বছর ধরে কোনো প্রধান শিক্ষক নেই। শিক্ষার্থীরা রয়েছে ন্যূনতম তত্ত্বাবধান ও শৃঙ্খলার অভাবে। সহকারী শিক্ষকরা জানিয়েছেন, প্রধান শিক্ষক না থাকায় তারা প্রশাসনিক কাজ, মিডডে মিল, শিক্ষাবিষয়ক মিটিং, মূল্যায়ন ও রিপোর্ট তৈরির মতো অতিরিক্ত দায়িত্বে জর্জরিত—ফলে পাঠদানে মনোযোগ দেওয়া অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
একজন সহকারী শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,
“প্রধান শিক্ষক না থাকলে স্কুল মানে হচ্ছে একপ্রকার ‘অর্থডক্স বেসরকারি ম্যানেজমেন্ট’। আমরা ক্লাস পড়াই, আবার সরকারি ফাইল-ফোল্ডারও সামলাই।”
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জানিয়েছেন,
“বিষয়টি বারবার মন্ত্রণালয়কে জানানো হচ্ছে। আমরা আশাবাদী, অচিরেই প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ সম্পন্ন হবে।”
প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য: ৭৪৬টি বিদ্যালয়
সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য: ৪০২টি
সহকারী শিক্ষক ও অভিভাবকদের জোর দাবি,
“প্রধান শিক্ষকহীন বিদ্যালয় শিক্ষার স্বাভাবিক গতি রোধ করছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া বিলম্ব হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মৌলিক শিক্ষা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
এদিকে জেলা পর্যায়ে শিক্ষা সচেতন নাগরিকরা বলছেন—যত দ্রুত সম্ভব প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ না হলে শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হওয়ার পাশাপাশি সরকারি বিনিয়োগও বিফলে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন