
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (২৯ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ভৈরব উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের গাইনহাটি গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ জুন দুপুরে, গাইনহাটি এলাকার মন্নান মিয়ার বাড়ির তুষার নামের এক তরুণ ভ্যানগাড়িতে করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের খাবারের টিফিন পৌঁছে দিচ্ছিলেন। এ সময় একই এলাকার ভূঁইয়া বাড়ির আশিক নামের এক যুবক ভ্যানে থাকা একটি বাটি খুলে দেখতে চাইলে তুষার বাধা দেন। এতে দুজনের মধ্যে প্রথমে তর্ক-বিতর্ক ও পরে হাতাহাতি হয়।
স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সেই সময় বিষয়টি মীমাংসা করলেও, রবিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই উত্তেজনা নতুন করে চাঙ্গা হয় এবং দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। দ্রুত সেই বাগবিতণ্ডা সহিংস সংঘর্ষে রূপ নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, উভয় পক্ষ ইট-পাটকেল ছুড়ে এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ দুই ঘণ্টার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হলেও গুরুতরদের ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফুয়াদ রোহানী বলেন,
“সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বর্তমানে এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনার পর পুরো গাইনহাটি এলাকায় এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা সংঘর্ষের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারি এবং গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ৩০ জুন ২০২৫
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (২৯ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ভৈরব উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের গাইনহাটি গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ জুন দুপুরে, গাইনহাটি এলাকার মন্নান মিয়ার বাড়ির তুষার নামের এক তরুণ ভ্যানগাড়িতে করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের খাবারের টিফিন পৌঁছে দিচ্ছিলেন। এ সময় একই এলাকার ভূঁইয়া বাড়ির আশিক নামের এক যুবক ভ্যানে থাকা একটি বাটি খুলে দেখতে চাইলে তুষার বাধা দেন। এতে দুজনের মধ্যে প্রথমে তর্ক-বিতর্ক ও পরে হাতাহাতি হয়।
স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সেই সময় বিষয়টি মীমাংসা করলেও, রবিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই উত্তেজনা নতুন করে চাঙ্গা হয় এবং দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। দ্রুত সেই বাগবিতণ্ডা সহিংস সংঘর্ষে রূপ নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, উভয় পক্ষ ইট-পাটকেল ছুড়ে এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ দুই ঘণ্টার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হলেও গুরুতরদের ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফুয়াদ রোহানী বলেন,
“সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বর্তমানে এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনার পর পুরো গাইনহাটি এলাকায় এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা সংঘর্ষের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারি এবং গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন