
আজ থেকে এক বছর আগে এই দিনে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বিস্ফোরক গণআন্দোলনের যাত্রা—যা দেশের স্বৈরতান্ত্রিক ক্ষমতার দীর্ঘ অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে জন্ম নেওয়া ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ মাত্র ৩৬ দিনে ইতিহাসের গতি বদলে দেয়।
শুরুটা হয়েছিল ২০২৪ সালের ১ জুলাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। হাইকোর্ট কর্তৃক কোটা বাতিলের রায় অবৈধ ঘোষণার পর ছাত্রসমাজ যখন ক্ষোভে ফুঁসছিল, তখনই আন্দোলনের ঝড় উঠে। ছাত্রদের ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি রূপ নেয় জাতীয় গণজাগরণে।
২ জুলাই থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন, ধর্মঘট ও সড়ক অবরোধ।
৭-১০ জুলাই: রাজধানীতে বাংলা ব্লকেডে অচল নগরজীবন।
১২ জুলাই: শেখ হাসিনা সরকার প্রতিবাদকারীদের 'অবৈধ' ঘোষণা করে।
১৩ জুলাই: রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেয়ার ডাক।
১৫ জুলাই: ঢাবির হলে ছাত্রলীগের বর্বর হামলা, ছাত্রীদের ওপর নির্যাতনের ছবি ভাইরাল।
১৬ জুলাই: রংপুরে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে শহীদ। শুরু হয় রক্তঝরা পর্ব।
২০ জুলাই: সেনা মোতায়েন, কারফিউ, হেলিকপ্টার থেকে গুলি, ৩৮ জন নিহত।
২১-২৮ জুলাই: নিখোঁজ, লাশ, গ্রেপ্তার আর বিদ্রোহে জ্বলতে থাকে বাংলাদেশ।
২৮ জুলাই: জোর করে আন্দোলনের স্থগিত ঘোষণা ভিডিও বার্তায় ছড়ানো হলেও ছাত্রসমাজ প্রত্যাখ্যান করে।
৩ আগস্ট: শহীদ মিনারে জনসমুদ্র, এক দফা: সরকার পতন চাই।
৫ আগস্ট: ঢাকামুখী ছাত্র-জনতার ঢল, “মার্চ টু ঢাকা”।
এই দিনেই শেখ হাসিনার পদত্যাগের ঘোষণা আসে, সরকার পতনের মধ্য দিয়ে আন্দোলনের বিজয় সম্পন্ন হয়।
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার – আন্দোলনের প্রধান মুখ
সর্বস্তরের মানুষ: শিক্ষক, শিল্পী, নাগরিক সমাজ, অভিভাবক—একাত্মতায় সামিল হয়
শেখ হাসিনা সরকারের পতন
ফেসবুক, ইন্টারনেট বন্ধের মতো রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের প্রতিবাদে সফল প্রতিরোধ
সেনা মোতায়েন ও কারফিউ জারি করেও ছাত্র-জনতার সাহস দমন হয়নি
ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য ‘ছাত্রশক্তির’ অমোঘ বার্তা
আজ সেই ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি। শহীদদের স্মরণে বিভিন্ন স্থানে আয়োজিত হচ্ছে ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ কর্মসূচি। দেশের মানুষ আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে তাদের, যারা স্বাধীন গণতন্ত্রের সূর্য ফিরিয়ে আনতে প্রাণ দিয়েছেন।
“এই মাটি, এই রক্ত, এই ছাত্রের চিৎকারে—বেঁচে থাকুক স্বাধীনতার দ্বিতীয় সংগ্রাম।”
বিষয় : জাতীয়
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০১ জুলাই ২০২৫
আজ থেকে এক বছর আগে এই দিনে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বিস্ফোরক গণআন্দোলনের যাত্রা—যা দেশের স্বৈরতান্ত্রিক ক্ষমতার দীর্ঘ অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে জন্ম নেওয়া ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ মাত্র ৩৬ দিনে ইতিহাসের গতি বদলে দেয়।
শুরুটা হয়েছিল ২০২৪ সালের ১ জুলাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। হাইকোর্ট কর্তৃক কোটা বাতিলের রায় অবৈধ ঘোষণার পর ছাত্রসমাজ যখন ক্ষোভে ফুঁসছিল, তখনই আন্দোলনের ঝড় উঠে। ছাত্রদের ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি রূপ নেয় জাতীয় গণজাগরণে।
২ জুলাই থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন, ধর্মঘট ও সড়ক অবরোধ।
৭-১০ জুলাই: রাজধানীতে বাংলা ব্লকেডে অচল নগরজীবন।
১২ জুলাই: শেখ হাসিনা সরকার প্রতিবাদকারীদের 'অবৈধ' ঘোষণা করে।
১৩ জুলাই: রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেয়ার ডাক।
১৫ জুলাই: ঢাবির হলে ছাত্রলীগের বর্বর হামলা, ছাত্রীদের ওপর নির্যাতনের ছবি ভাইরাল।
১৬ জুলাই: রংপুরে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে শহীদ। শুরু হয় রক্তঝরা পর্ব।
২০ জুলাই: সেনা মোতায়েন, কারফিউ, হেলিকপ্টার থেকে গুলি, ৩৮ জন নিহত।
২১-২৮ জুলাই: নিখোঁজ, লাশ, গ্রেপ্তার আর বিদ্রোহে জ্বলতে থাকে বাংলাদেশ।
২৮ জুলাই: জোর করে আন্দোলনের স্থগিত ঘোষণা ভিডিও বার্তায় ছড়ানো হলেও ছাত্রসমাজ প্রত্যাখ্যান করে।
৩ আগস্ট: শহীদ মিনারে জনসমুদ্র, এক দফা: সরকার পতন চাই।
৫ আগস্ট: ঢাকামুখী ছাত্র-জনতার ঢল, “মার্চ টু ঢাকা”।
এই দিনেই শেখ হাসিনার পদত্যাগের ঘোষণা আসে, সরকার পতনের মধ্য দিয়ে আন্দোলনের বিজয় সম্পন্ন হয়।
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার – আন্দোলনের প্রধান মুখ
সর্বস্তরের মানুষ: শিক্ষক, শিল্পী, নাগরিক সমাজ, অভিভাবক—একাত্মতায় সামিল হয়
শেখ হাসিনা সরকারের পতন
ফেসবুক, ইন্টারনেট বন্ধের মতো রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের প্রতিবাদে সফল প্রতিরোধ
সেনা মোতায়েন ও কারফিউ জারি করেও ছাত্র-জনতার সাহস দমন হয়নি
ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য ‘ছাত্রশক্তির’ অমোঘ বার্তা
আজ সেই ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি। শহীদদের স্মরণে বিভিন্ন স্থানে আয়োজিত হচ্ছে ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ কর্মসূচি। দেশের মানুষ আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে তাদের, যারা স্বাধীন গণতন্ত্রের সূর্য ফিরিয়ে আনতে প্রাণ দিয়েছেন।
“এই মাটি, এই রক্ত, এই ছাত্রের চিৎকারে—বেঁচে থাকুক স্বাধীনতার দ্বিতীয় সংগ্রাম।”
আপনার মতামত লিখুন