শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
বাজিতপুর নিউজ

আফতাব উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ: বাজিতপুরের শিক্ষাবিপ্লবের বাতিঘর

আফতাব উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ: বাজিতপুরের শিক্ষাবিপ্লবের বাতিঘর
ছবিঃ আফতাব উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ

১৯২৮ সালের এই দিনে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ভাগলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও শিল্পপতি জহুরুল ইসলাম। শুধু একজন সফল ব্যবসায়ীই নন, তিনি ছিলেন এক আলোকবর্তিকা, যিনি শিক্ষাকে মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ শক্তি হিসেবে দেখতেন।

জহুরুল ইসলামের পিতা জনাব আফতাব উদ্দিন ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলার এক সুপরিচিত রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ১৯৫৮ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত বাজিতপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পিতার অনুপ্রেরণায় ও নিজের স্বপ্নে উদ্ভাসিত হয়ে জহুরুল ইসলাম বাজিতপুরবাসীর জন্য রেখে গেছেন এক অনন্য উপহার — আফতাব উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

একটি স্বপ্ন থেকে এক ঐতিহ্য

প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই প্রতিষ্ঠানটি ছিল ব্যতিক্রম। জহুরুল ইসলামের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাজিতপুরকে শুধু একটি শিক্ষিত জনপদে পরিণত করা নয়, বরং নৈতিকতা ও শৃঙ্খলার এক অনন্য মডেল হিসেবে গড়ে তোলা। সেই ভাবনাতেই গড়ে ওঠে এই প্রতিষ্ঠান, যেখানে নিয়মিত উপস্থিতি, মাসিক মূল্যায়ন পরীক্ষা, কঠোর শৃঙ্খলা, এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়।

এখানে বেয়াদবির কোনো জায়গা নেই, শুধু জ্ঞানচর্চা আর মূল্যবোধে গড়া এক শিক্ষাঙ্গন।

সাফল্যের ধারাবাহিকতা

প্রতিষ্ঠানটি বছরের পর বছর ধরে কিশোরগঞ্জ জেলার সেরা তিনটির মধ্যে অবস্থান করে আসছে। প্রতি বছর এখান থেকে শত শত শিক্ষার্থী দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়ে বাজিতপুরের নাম উজ্জ্বল করছে।

যারা পড়ালেখা করে, স্বপ্ন দেখে, পরিশ্রমে বিশ্বাসী—তাদের জন্য আফতাব উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ এক আদর্শ জায়গা। তবে শৃঙ্খলা আর ভণ্ডামির বিরুদ্ধে অবস্থানের কারণে, এখানে টিকে থাকতে হলে প্রয়োজন সত্যিকার জ্ঞানপিপাসা ও ভদ্রতা।

একটি অনন্য ব্যতিক্রম

অন্য অনেক প্রতিষ্ঠানে যেখানে শৃঙ্খলার অভাব, সেখানে আফতাব উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ দাঁড়িয়ে আছে দৃঢ়তায়, মাথা উঁচু করে। এখানে শিক্ষার্থীদের শুধু পরীক্ষার ফলাফল নয়, বরং চরিত্র, আচরণ ও নৈতিকতা দিয়েও মূল্যায়ন করা হয়।

শেষ কথায় শ্রদ্ধা ও অনুরণন

জহুরুল ইসলামের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ বাজিতপুরের গর্ব, কিশোরগঞ্জের রত্ন। এ শুধু একটি স্কুল নয়, এটি একটি আদর্শচর্চার কেন্দ্র। তিনি প্রমাণ করে গেছেন—উদ্দেশ্য যদি হয় বিশুদ্ধ, পরিণতি হয় সর্বজনীন কল্যাণ।

বিষয় : বাজিতপুর শিক্ষা কিশোরগঞ্জ

আপনার মতামত লিখুন

বাজিতপুর নিউজ

শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫


আফতাব উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ: বাজিতপুরের শিক্ষাবিপ্লবের বাতিঘর

প্রকাশের তারিখ : ০৩ জুলাই ২০২৫

featured Image

১৯২৮ সালের এই দিনে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ভাগলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও শিল্পপতি জহুরুল ইসলাম। শুধু একজন সফল ব্যবসায়ীই নন, তিনি ছিলেন এক আলোকবর্তিকা, যিনি শিক্ষাকে মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ শক্তি হিসেবে দেখতেন।

জহুরুল ইসলামের পিতা জনাব আফতাব উদ্দিন ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলার এক সুপরিচিত রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ১৯৫৮ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত বাজিতপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পিতার অনুপ্রেরণায় ও নিজের স্বপ্নে উদ্ভাসিত হয়ে জহুরুল ইসলাম বাজিতপুরবাসীর জন্য রেখে গেছেন এক অনন্য উপহার — আফতাব উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

একটি স্বপ্ন থেকে এক ঐতিহ্য

প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই প্রতিষ্ঠানটি ছিল ব্যতিক্রম। জহুরুল ইসলামের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাজিতপুরকে শুধু একটি শিক্ষিত জনপদে পরিণত করা নয়, বরং নৈতিকতা ও শৃঙ্খলার এক অনন্য মডেল হিসেবে গড়ে তোলা। সেই ভাবনাতেই গড়ে ওঠে এই প্রতিষ্ঠান, যেখানে নিয়মিত উপস্থিতি, মাসিক মূল্যায়ন পরীক্ষা, কঠোর শৃঙ্খলা, এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়।

এখানে বেয়াদবির কোনো জায়গা নেই, শুধু জ্ঞানচর্চা আর মূল্যবোধে গড়া এক শিক্ষাঙ্গন।

সাফল্যের ধারাবাহিকতা

প্রতিষ্ঠানটি বছরের পর বছর ধরে কিশোরগঞ্জ জেলার সেরা তিনটির মধ্যে অবস্থান করে আসছে। প্রতি বছর এখান থেকে শত শত শিক্ষার্থী দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়ে বাজিতপুরের নাম উজ্জ্বল করছে।

যারা পড়ালেখা করে, স্বপ্ন দেখে, পরিশ্রমে বিশ্বাসী—তাদের জন্য আফতাব উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ এক আদর্শ জায়গা। তবে শৃঙ্খলা আর ভণ্ডামির বিরুদ্ধে অবস্থানের কারণে, এখানে টিকে থাকতে হলে প্রয়োজন সত্যিকার জ্ঞানপিপাসা ও ভদ্রতা।

একটি অনন্য ব্যতিক্রম

অন্য অনেক প্রতিষ্ঠানে যেখানে শৃঙ্খলার অভাব, সেখানে আফতাব উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ দাঁড়িয়ে আছে দৃঢ়তায়, মাথা উঁচু করে। এখানে শিক্ষার্থীদের শুধু পরীক্ষার ফলাফল নয়, বরং চরিত্র, আচরণ ও নৈতিকতা দিয়েও মূল্যায়ন করা হয়।

শেষ কথায় শ্রদ্ধা ও অনুরণন

জহুরুল ইসলামের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ বাজিতপুরের গর্ব, কিশোরগঞ্জের রত্ন। এ শুধু একটি স্কুল নয়, এটি একটি আদর্শচর্চার কেন্দ্র। তিনি প্রমাণ করে গেছেন—উদ্দেশ্য যদি হয় বিশুদ্ধ, পরিণতি হয় সর্বজনীন কল্যাণ।


বাজিতপুর নিউজ

প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ মোশিউর রহমান আতিক | নির্বাহী সম্পাদক: মোহাম্মদ খলিলুর রহমান
কপিরাইট © ২০২৫ বাজিতপুর নিউজ । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত