শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
বাজিতপুর নিউজ

কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার ওসির ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার ওসির ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
কিশোরগঞ্জে ওসির ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

ঘুষ বাণিজ্য, মামলা দিয়ে হয়রানি ও দুর্নীতির অভিযোগে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লিটন মিয়ার অপসারণ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী।

বুধবার (২ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশ নেন ভুক্তভোগী ও স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।

বক্তারা অভিযোগ করেন, ওসি লিটন মিয়া মামলা বাণিজ্য, ভয়ভীতি প্রদর্শন, মাদক কারবারিদের কাছ থেকে মাসোয়ারা গ্রহণসহ একাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। এমনকি সাধারণ মানুষকেও মামলার ভয় দেখিয়ে বাড়ি থেকে ধরে এনে থানায় আটকে রেখে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

বক্তৃতা দেন ভুক্তভোগী কমলা বেগম, দ্বীন ইসলাম এবং জেলা যুবদলের নেতা ফারুক
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সহ-সম্পাদক ওমর ফারুক, শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দুলাল মিয়া, গুরুদয়াল কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাহিম সাদ এবং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল

আঠারোবাড়ি এলাকার বাসিন্দা দ্বীন ইসলাম বলেন,

“রেলওয়ে পুলিশ বাড়িতে এসে জানায় গাছ কাটায় সমস্যা হয়েছে। থানায় গেলে ওসি মামলা দিয়ে জেল খাটানোর ভয় দেখান। একপর্যায়ে ৫ হাজার টাকা দিলে বলেন, আর কোনো সমস্যা নেই।”

ঘটনার পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে দাবি করে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার ওসি লিটন মিয়া বলেন,

“আমি টিকিট কালোবাজারি ও মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করায় একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য আমাকে সরিয়ে আবার অপরাধের রাজত্ব ফিরিয়ে আনা।”

তিনি আরও বলেন,

“আঠারোবাড়ির গাছ কাটা নিয়ে কিছু মানুষ রেলের জমিতে গাছ কাটার অভিযোগে থানায় ডাকা হয়েছিল। আইনগতভাবে কাজ করেছি, কিন্তু এখন মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমার বদলি করানোর অপচেষ্টা চলছে।”

ঘটনাপ্রবাহের পেছনের প্রেক্ষাপট:

উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার আওতাধীন আঠারোবাড়ি রেলস্টেশনের কাছে উত্তর বনগাঁও এলাকার বাসিন্দা রতন মিয়া ১০ বছর আগে রেলের সীমানা থেকে ৭ ফুট দূরে নিজের জমিতে দুটি রেইনট্রি গাছ রোপণ করেন। সম্প্রতি বাড়ি নির্মাণের প্রয়োজন হওয়ায় ১৭ জুন তিনি গাছ দুটি কেটে ফেলেন। এরপর রেলওয়ে পুলিশের দুই সদস্য বাড়িতে গিয়ে অভিযোগ তুলে থানায় যেতে বলেন।

পরদিন তার প্রতিবন্ধি স্ত্রী কমলা বেগম ও মেয়ের জামাই দ্বীন ইসলাম কে সঙ্গে নিয়ে থানায় গেলে, ওসি তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও শাস্তির ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

শেষ কথা:

বিক্ষোভকারীরা জানান,

“ওসি লিটনকে দ্রুত অপসারণ না করলে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”

এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই এবং পরবর্তী পদক্ষেপ জানতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিষয় : কিশোরগঞ্জ বিক্ষোভ ঘুষ দুর্নীতি

আপনার মতামত লিখুন

বাজিতপুর নিউজ

শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫


কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার ওসির ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

প্রকাশের তারিখ : ০৩ জুলাই ২০২৫

featured Image

ঘুষ বাণিজ্য, মামলা দিয়ে হয়রানি ও দুর্নীতির অভিযোগে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লিটন মিয়ার অপসারণ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী।

বুধবার (২ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশ নেন ভুক্তভোগী ও স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।

বক্তারা অভিযোগ করেন, ওসি লিটন মিয়া মামলা বাণিজ্য, ভয়ভীতি প্রদর্শন, মাদক কারবারিদের কাছ থেকে মাসোয়ারা গ্রহণসহ একাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। এমনকি সাধারণ মানুষকেও মামলার ভয় দেখিয়ে বাড়ি থেকে ধরে এনে থানায় আটকে রেখে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

বক্তৃতা দেন ভুক্তভোগী কমলা বেগম, দ্বীন ইসলাম এবং জেলা যুবদলের নেতা ফারুক
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সহ-সম্পাদক ওমর ফারুক, শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দুলাল মিয়া, গুরুদয়াল কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাহিম সাদ এবং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল

আঠারোবাড়ি এলাকার বাসিন্দা দ্বীন ইসলাম বলেন,

“রেলওয়ে পুলিশ বাড়িতে এসে জানায় গাছ কাটায় সমস্যা হয়েছে। থানায় গেলে ওসি মামলা দিয়ে জেল খাটানোর ভয় দেখান। একপর্যায়ে ৫ হাজার টাকা দিলে বলেন, আর কোনো সমস্যা নেই।”

ঘটনার পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে দাবি করে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার ওসি লিটন মিয়া বলেন,

“আমি টিকিট কালোবাজারি ও মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করায় একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য আমাকে সরিয়ে আবার অপরাধের রাজত্ব ফিরিয়ে আনা।”

তিনি আরও বলেন,

“আঠারোবাড়ির গাছ কাটা নিয়ে কিছু মানুষ রেলের জমিতে গাছ কাটার অভিযোগে থানায় ডাকা হয়েছিল। আইনগতভাবে কাজ করেছি, কিন্তু এখন মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমার বদলি করানোর অপচেষ্টা চলছে।”

ঘটনাপ্রবাহের পেছনের প্রেক্ষাপট:

উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার আওতাধীন আঠারোবাড়ি রেলস্টেশনের কাছে উত্তর বনগাঁও এলাকার বাসিন্দা রতন মিয়া ১০ বছর আগে রেলের সীমানা থেকে ৭ ফুট দূরে নিজের জমিতে দুটি রেইনট্রি গাছ রোপণ করেন। সম্প্রতি বাড়ি নির্মাণের প্রয়োজন হওয়ায় ১৭ জুন তিনি গাছ দুটি কেটে ফেলেন। এরপর রেলওয়ে পুলিশের দুই সদস্য বাড়িতে গিয়ে অভিযোগ তুলে থানায় যেতে বলেন।

পরদিন তার প্রতিবন্ধি স্ত্রী কমলা বেগম ও মেয়ের জামাই দ্বীন ইসলাম কে সঙ্গে নিয়ে থানায় গেলে, ওসি তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও শাস্তির ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

শেষ কথা:

বিক্ষোভকারীরা জানান,

“ওসি লিটনকে দ্রুত অপসারণ না করলে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”

এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই এবং পরবর্তী পদক্ষেপ জানতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।


বাজিতপুর নিউজ

প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ মোশিউর রহমান আতিক | নির্বাহী সম্পাদক: মোহাম্মদ খলিলুর রহমান
কপিরাইট © ২০২৫ বাজিতপুর নিউজ । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত