শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
বাজিতপুর নিউজ

ঘরে বসেই দান করা যাবে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে

ঘরে বসেই দান করা যাবে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক ও অগাধ বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু পাগলা মসজিদে এবার চালু হলো অনলাইন ডোনেশন সাইট। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ধর্মীয় আস্থার প্রতীক এই মসজিদে এখন ঘরে বসেই দেশ-বিদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে অনলাইনে দান করা যাবে। মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানায়, নতুন ওয়েবসাইটটির মাধ্যমে দানপ্রত্যাশীদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে একটি নিরাপদ, সরাসরি ও আধুনিক প্ল্যাটফর্ম

শুক্রবার (৪ জুলাই) সকালে পাগলা মসজিদ চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ডিজিটাল সেবার উদ্বোধন করেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান। তিনি বলেন,

“সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাগলা মসজিদের নামে বিভিন্ন ভুয়া পেজ ও অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা করা হচ্ছে। এই অনলাইন সাইট চালুর মাধ্যমে আমরা একটি বিশ্বস্ত ও প্রাতিষ্ঠানিক পথ তৈরি করেছি, যাতে মানুষ নিশ্চিন্তে দান করতে পারে।”

উদ্বোধনী আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিজবে রহমত, জেলা জামাতে আমির অধ্যাপক রমজান আলী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি আলমগীর হোসেন তালুকদার, জামিয়া এমদাদিয়ার মহাপরিচালক মাওলানা শাব্বির আহমাদ রশিদ, বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন দিলু, ছাত্রনেতা ইয়াজ ইবনে জসিম, মসজিদের খতিবসহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

'দান করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়'—এই বিশ্বাসে যুগ যুগ ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ দান করতে আসে এই পবিত্র স্থানে। তবে ডিজিটাল যুগে এসে এই বিশ্বাসের চর্চা আর সময়, দূরত্ব বা ঝুঁকির বাধায় আটকে থাকবে না। নতুন সাইটের মাধ্যমে প্রবাসীরা বা দূরে অবস্থানরত যে কেউ সহজেই এই পুণ্য কর্মে অংশ নিতে পারবে।

ওয়েবসাইট লিংক: www.paglamosque.org

এখানে গিয়ে খুব সহজেই ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং, কিংবা আন্তর্জাতিক গেটওয়ের মাধ্যমে দান করা যাবে।

পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত এবং ঈর্ষণীয় এক বিস্ময়। প্রতি তিন মাস অন্তর খোলা হয় এই দান সিন্দুক। সিন্দুকে পাওয়া যায় টাকা-পয়সা, স্বর্ণালঙ্কার, বৈদেশিক মুদ্রা, এমনকি মানুষের চিঠিও। সর্বশেষ ১২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে খোলা হয় দান সিন্দুক, যেখানে রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা পাওয়া যায়।

পাগলা মসজিদ কেবল একটি মসজিদ নয়, এটি বিশ্বাস, ভক্তি এবং দানের এক বিশাল ক্যানভাস। এবার সেই বিশ্বাসে যুক্ত হলো প্রযুক্তির ছোঁয়া। সময়ের দাবি মেনে চালু হলো নিরাপদ ও আধুনিক দান ব্যবস্থাপনা। ধর্ম, প্রযুক্তি ও আস্থার এমন সংমিশ্রণ নিঃসন্দেহে কিশোরগঞ্জবাসী ও বিশ্বজুড়ে মসজিদটির ভক্তদের জন্য এক নতুন দিগন্তের সূচনা।

বিষয় : কিশোরগঞ্জ

আপনার মতামত লিখুন

বাজিতপুর নিউজ

শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫


ঘরে বসেই দান করা যাবে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে

প্রকাশের তারিখ : ০৪ জুলাই ২০২৫

featured Image

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক ও অগাধ বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু পাগলা মসজিদে এবার চালু হলো অনলাইন ডোনেশন সাইট। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ধর্মীয় আস্থার প্রতীক এই মসজিদে এখন ঘরে বসেই দেশ-বিদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে অনলাইনে দান করা যাবে। মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানায়, নতুন ওয়েবসাইটটির মাধ্যমে দানপ্রত্যাশীদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে একটি নিরাপদ, সরাসরি ও আধুনিক প্ল্যাটফর্ম

শুক্রবার (৪ জুলাই) সকালে পাগলা মসজিদ চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ডিজিটাল সেবার উদ্বোধন করেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান। তিনি বলেন,

“সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাগলা মসজিদের নামে বিভিন্ন ভুয়া পেজ ও অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা করা হচ্ছে। এই অনলাইন সাইট চালুর মাধ্যমে আমরা একটি বিশ্বস্ত ও প্রাতিষ্ঠানিক পথ তৈরি করেছি, যাতে মানুষ নিশ্চিন্তে দান করতে পারে।”

উদ্বোধনী আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিজবে রহমত, জেলা জামাতে আমির অধ্যাপক রমজান আলী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি আলমগীর হোসেন তালুকদার, জামিয়া এমদাদিয়ার মহাপরিচালক মাওলানা শাব্বির আহমাদ রশিদ, বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন দিলু, ছাত্রনেতা ইয়াজ ইবনে জসিম, মসজিদের খতিবসহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

'দান করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়'—এই বিশ্বাসে যুগ যুগ ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ দান করতে আসে এই পবিত্র স্থানে। তবে ডিজিটাল যুগে এসে এই বিশ্বাসের চর্চা আর সময়, দূরত্ব বা ঝুঁকির বাধায় আটকে থাকবে না। নতুন সাইটের মাধ্যমে প্রবাসীরা বা দূরে অবস্থানরত যে কেউ সহজেই এই পুণ্য কর্মে অংশ নিতে পারবে।

ওয়েবসাইট লিংক: www.paglamosque.org

এখানে গিয়ে খুব সহজেই ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং, কিংবা আন্তর্জাতিক গেটওয়ের মাধ্যমে দান করা যাবে।

পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত এবং ঈর্ষণীয় এক বিস্ময়। প্রতি তিন মাস অন্তর খোলা হয় এই দান সিন্দুক। সিন্দুকে পাওয়া যায় টাকা-পয়সা, স্বর্ণালঙ্কার, বৈদেশিক মুদ্রা, এমনকি মানুষের চিঠিও। সর্বশেষ ১২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে খোলা হয় দান সিন্দুক, যেখানে রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা পাওয়া যায়।

পাগলা মসজিদ কেবল একটি মসজিদ নয়, এটি বিশ্বাস, ভক্তি এবং দানের এক বিশাল ক্যানভাস। এবার সেই বিশ্বাসে যুক্ত হলো প্রযুক্তির ছোঁয়া। সময়ের দাবি মেনে চালু হলো নিরাপদ ও আধুনিক দান ব্যবস্থাপনা। ধর্ম, প্রযুক্তি ও আস্থার এমন সংমিশ্রণ নিঃসন্দেহে কিশোরগঞ্জবাসী ও বিশ্বজুড়ে মসজিদটির ভক্তদের জন্য এক নতুন দিগন্তের সূচনা।


বাজিতপুর নিউজ

প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ মোশিউর রহমান আতিক | নির্বাহী সম্পাদক: মোহাম্মদ খলিলুর রহমান
কপিরাইট © ২০২৫ বাজিতপুর নিউজ । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত