
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে নিখোঁজের একদিন পর এক বাঁশ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির নাম মো. জাহাঙ্গীর (৪০)। তিনি কুলিয়ারচর পৌরসভার বড়খারচর মহল্লার বাসিন্দা এবং দুখু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পৌর সদরের বড়খারচর মহল্লার এক পরিত্যক্ত জমি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহটির বিভিন্ন স্থানে স্পষ্ট আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, যা দেখে প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে—জাহাঙ্গীরকে হত্যা করে সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে।
জানা যায়, গত বুধবার (২ জুলাই) বিকেলে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো খোঁজ পায়নি। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে কুলিয়ারচর থানায় নিখোঁজের বিষয়টি জানানো হয়।
ওইদিন বিকেলে স্থানীয় কিছু কিশোর জমির পাশে ফুটবল খেলছিল। খেলার সময় বলটি পাশের একটি ঘাসে আচ্ছাদিত জায়গায় চলে গেলে তা কুড়াতে গিয়ে তারা রক্তাক্ত মরদেহটি দেখতে পায়। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি থানায় জানানো হয়।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন,
"মরদেহের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ওই স্থানে ফেলে রাখা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত হত্যাকারীদের শনাক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৪ জুলাই ২০২৫
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে নিখোঁজের একদিন পর এক বাঁশ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির নাম মো. জাহাঙ্গীর (৪০)। তিনি কুলিয়ারচর পৌরসভার বড়খারচর মহল্লার বাসিন্দা এবং দুখু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পৌর সদরের বড়খারচর মহল্লার এক পরিত্যক্ত জমি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহটির বিভিন্ন স্থানে স্পষ্ট আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, যা দেখে প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে—জাহাঙ্গীরকে হত্যা করে সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে।
জানা যায়, গত বুধবার (২ জুলাই) বিকেলে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো খোঁজ পায়নি। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে কুলিয়ারচর থানায় নিখোঁজের বিষয়টি জানানো হয়।
ওইদিন বিকেলে স্থানীয় কিছু কিশোর জমির পাশে ফুটবল খেলছিল। খেলার সময় বলটি পাশের একটি ঘাসে আচ্ছাদিত জায়গায় চলে গেলে তা কুড়াতে গিয়ে তারা রক্তাক্ত মরদেহটি দেখতে পায়। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি থানায় জানানো হয়।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন,
"মরদেহের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ওই স্থানে ফেলে রাখা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত হত্যাকারীদের শনাক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন