রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
বাজিতপুর নিউজ

পাগলা মসজিদে প্রথম ২৪ ঘন্টায় অনলাইনে দান এলো ৬০২১০ টাকা

পাগলা মসজিদে প্রথম ২৪ ঘন্টায় অনলাইনে দান এলো ৬০২১০ টাকা

ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ এবার ডিজিটাল যুগে এক দুর্দান্ত পদক্ষেপ নিয়েছে। ওয়েবসাইট চালুর পর মাত্র প্রথম ২৪ ঘণ্টায় অনলাইনে দান এসেছে ৬০ হাজার ২১০ টাকা ১১ পয়সা। বিকাশ, রকেট, ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডসহ নানা পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে এই দান জমা পড়েছে মসজিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।

শুক্রবার (৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় www.paglamosque.org ওয়েবসাইট উদ্বোধনের পর থেকেই দেশ-বিদেশ থেকে মানুষ ঘরে বসেই দান করছেন এই পবিত্র মসজিদে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মসজিদ কমিটির সদস্য সচিব ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরশাদ মিয়া।

তিনি বলেন, “এখন যেকেউ ঘরে বসে নির্ভরযোগ্যভাবে দান করতে পারছেন, যার ফলে প্রতারণার ঝুঁকিও কমেছে।”

জেলা প্রশাসক (যুগ্ম সচিব) ফৌজিয়া খান বলেন, “অনেকে আগে মসজিদে দান পাঠাতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হতেন। এখন একটি বিশ্বস্ত মাধ্যম রয়েছে। এই ওয়েবসাইট শুধু দানের জন্য নয়, মসজিদের ইতিহাস, নামাজের সময় ও নানা তথ্য জানার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হবে।”

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে বিষয়টি। কেউ বলছেন—“দানের পাশাপাশি পাগলা মসজিদকে যেন আরও নান্দনিক ও আধুনিক স্থাপনা হিসেবে গড়ে তোলা হয়।”

নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত পাগলা মসজিদ এখন শুধু একটি উপাসনালয় নয়—এটি সমগ্র বাংলাদেশবাসীর আবেগ, বিশ্বাস ও আস্থার প্রতীক। তিন মাস পর পর খোলা হয় মসজিদের দানসিন্দুক, যেখানে পাওয়া যায় নগদ অর্থ ছাড়াও স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা। সর্বশেষ ১২ এপ্রিল খুললে পাওয়া যায় ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।

বর্তমানে মসজিদের ব্যাংক হিসাবেই জমা রয়েছে ৯০ কোটির বেশি। এই সংখ্যা শুধু অর্থমূল্য নয়, এটি প্রমাণ করে বাংলাদেশের মানুষ ধর্মীয় বিশ্বাস ও আস্থার জায়গায় কতটা উদার।

সাম্প্রতিক সময়ে মসজিদ চত্বরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একটি আধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স, যা ৩.৮৮ একর জমির উপর নির্মিত। এক কথায়, পাগলা মসজিদ এখন কিশোরগঞ্জের গর্ব, বাংলাদেশের গৌরব।

বিষয় : কিশোরগঞ্জ পাগলা মসজিদ

আপনার মতামত লিখুন

বাজিতপুর নিউজ

রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫


পাগলা মসজিদে প্রথম ২৪ ঘন্টায় অনলাইনে দান এলো ৬০২১০ টাকা

প্রকাশের তারিখ : ০৫ জুলাই ২০২৫

featured Image

ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ এবার ডিজিটাল যুগে এক দুর্দান্ত পদক্ষেপ নিয়েছে। ওয়েবসাইট চালুর পর মাত্র প্রথম ২৪ ঘণ্টায় অনলাইনে দান এসেছে ৬০ হাজার ২১০ টাকা ১১ পয়সা। বিকাশ, রকেট, ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডসহ নানা পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে এই দান জমা পড়েছে মসজিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।

শুক্রবার (৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় www.paglamosque.org ওয়েবসাইট উদ্বোধনের পর থেকেই দেশ-বিদেশ থেকে মানুষ ঘরে বসেই দান করছেন এই পবিত্র মসজিদে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মসজিদ কমিটির সদস্য সচিব ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরশাদ মিয়া।

তিনি বলেন, “এখন যেকেউ ঘরে বসে নির্ভরযোগ্যভাবে দান করতে পারছেন, যার ফলে প্রতারণার ঝুঁকিও কমেছে।”

জেলা প্রশাসক (যুগ্ম সচিব) ফৌজিয়া খান বলেন, “অনেকে আগে মসজিদে দান পাঠাতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হতেন। এখন একটি বিশ্বস্ত মাধ্যম রয়েছে। এই ওয়েবসাইট শুধু দানের জন্য নয়, মসজিদের ইতিহাস, নামাজের সময় ও নানা তথ্য জানার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হবে।”

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে বিষয়টি। কেউ বলছেন—“দানের পাশাপাশি পাগলা মসজিদকে যেন আরও নান্দনিক ও আধুনিক স্থাপনা হিসেবে গড়ে তোলা হয়।”

নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত পাগলা মসজিদ এখন শুধু একটি উপাসনালয় নয়—এটি সমগ্র বাংলাদেশবাসীর আবেগ, বিশ্বাস ও আস্থার প্রতীক। তিন মাস পর পর খোলা হয় মসজিদের দানসিন্দুক, যেখানে পাওয়া যায় নগদ অর্থ ছাড়াও স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা। সর্বশেষ ১২ এপ্রিল খুললে পাওয়া যায় ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।

বর্তমানে মসজিদের ব্যাংক হিসাবেই জমা রয়েছে ৯০ কোটির বেশি। এই সংখ্যা শুধু অর্থমূল্য নয়, এটি প্রমাণ করে বাংলাদেশের মানুষ ধর্মীয় বিশ্বাস ও আস্থার জায়গায় কতটা উদার।

সাম্প্রতিক সময়ে মসজিদ চত্বরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একটি আধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স, যা ৩.৮৮ একর জমির উপর নির্মিত। এক কথায়, পাগলা মসজিদ এখন কিশোরগঞ্জের গর্ব, বাংলাদেশের গৌরব।


বাজিতপুর নিউজ

প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ মোশিউর রহমান আতিক | নির্বাহী সম্পাদক: মোহাম্মদ খলিলুর রহমান
কপিরাইট © ২০২৫ বাজিতপুর নিউজ । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত