
পবিত্র মহরম মাসের রাতে বাজিতপুরে অনুষ্ঠিত বিএনপির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান-বাজনা ও কনসার্ট আয়োজন ঘিরে শুরু হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা।
শনিবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ মাঠে উপজেলা বিএনপির একটি আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। সভা শেষে দেশের জনপ্রিয় শিল্পী রবি চৌধুরী, ন্যান্সি ও মৌসুমী সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
তবে মহরমের রাতেই এমন জমকালো কনসার্ট আয়োজন করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন ধর্মপ্রাণ এলাকাবাসী এবং অনেকে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা দেখা গেছে এই আয়োজন ঘিরে। অনেকেই লিখেছেন—
“কারবালার শোকের রাতে এমন উৎসব? এটাই যদি ‘জাতীয়তাবাদী’ সংস্কৃতি হয়, তাহলে প্রশ্ন উঠবে নেতা-কর্মীদের ধর্মীয় অনুভূতি নিয়েও।”
একজন স্থানীয় ফেসবুক ব্যবহারকারী লেখেন—
“বিপ্লব নয়, এখন বিএনপি করছে ডিজে পার্টি! কারবালার শহীদের রক্তের স্মরণে তো নয়, যেন নাচ-গানের প্রতিযোগিতা চলছে!”
বিষয়টি নিয়ে এখনো উপজেলা বিএনপি কিংবা কেন্দ্রীয় নেতাদের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি। দলীয় সূত্রে কেউ কেউ বলছেন, দিনক্ষণ নির্ধারণে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। তবে অনেকে একে “অযাচিত অবহেলা” বলেও আখ্যা দিচ্ছেন।
পবিত্র আশুরার প্রাক্কালে মহরমের রাতের মর্যাদা ভুলে এই ধরনের অনুষ্ঠান করা কতটা যথাযথ ও সংবেদনশীলতার ছিল—তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন ও সাধারণ মানুষ।
একজন স্থানীয় মসজিদের ইমাম বলেন,
“মহরমের এই দিনগুলো কারবালার স্মরণে আত্মসংযম, প্রার্থনা ও শোক পালনের সময়। রাজনৈতিক দলগুলো যদি সেই ধর্মীয় আবহও সম্মান না করে, তাহলে তাদের দায়িত্বশীলতা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে।”
উল্লেখ্য, মহরম মাস বিশেষ করে আশুরার সময়টি মুসলিম বিশ্বের জন্য এক গভীর শোক ও আত্মত্যাগের প্রতীক। ঠিক সেই সময়ে এমন সাংস্কৃতিক কনসার্ট আয়োজনকে ঘিরে বিএনপি এবার তীব্র ধর্মীয় ও সামাজিক সমালোচনার মুখে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৬ জুলাই ২০২৫
পবিত্র মহরম মাসের রাতে বাজিতপুরে অনুষ্ঠিত বিএনপির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান-বাজনা ও কনসার্ট আয়োজন ঘিরে শুরু হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা।
শনিবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ মাঠে উপজেলা বিএনপির একটি আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। সভা শেষে দেশের জনপ্রিয় শিল্পী রবি চৌধুরী, ন্যান্সি ও মৌসুমী সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
তবে মহরমের রাতেই এমন জমকালো কনসার্ট আয়োজন করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন ধর্মপ্রাণ এলাকাবাসী এবং অনেকে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা দেখা গেছে এই আয়োজন ঘিরে। অনেকেই লিখেছেন—
“কারবালার শোকের রাতে এমন উৎসব? এটাই যদি ‘জাতীয়তাবাদী’ সংস্কৃতি হয়, তাহলে প্রশ্ন উঠবে নেতা-কর্মীদের ধর্মীয় অনুভূতি নিয়েও।”
একজন স্থানীয় ফেসবুক ব্যবহারকারী লেখেন—
“বিপ্লব নয়, এখন বিএনপি করছে ডিজে পার্টি! কারবালার শহীদের রক্তের স্মরণে তো নয়, যেন নাচ-গানের প্রতিযোগিতা চলছে!”
বিষয়টি নিয়ে এখনো উপজেলা বিএনপি কিংবা কেন্দ্রীয় নেতাদের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি। দলীয় সূত্রে কেউ কেউ বলছেন, দিনক্ষণ নির্ধারণে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। তবে অনেকে একে “অযাচিত অবহেলা” বলেও আখ্যা দিচ্ছেন।
পবিত্র আশুরার প্রাক্কালে মহরমের রাতের মর্যাদা ভুলে এই ধরনের অনুষ্ঠান করা কতটা যথাযথ ও সংবেদনশীলতার ছিল—তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন ও সাধারণ মানুষ।
একজন স্থানীয় মসজিদের ইমাম বলেন,
“মহরমের এই দিনগুলো কারবালার স্মরণে আত্মসংযম, প্রার্থনা ও শোক পালনের সময়। রাজনৈতিক দলগুলো যদি সেই ধর্মীয় আবহও সম্মান না করে, তাহলে তাদের দায়িত্বশীলতা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে।”
উল্লেখ্য, মহরম মাস বিশেষ করে আশুরার সময়টি মুসলিম বিশ্বের জন্য এক গভীর শোক ও আত্মত্যাগের প্রতীক। ঠিক সেই সময়ে এমন সাংস্কৃতিক কনসার্ট আয়োজনকে ঘিরে বিএনপি এবার তীব্র ধর্মীয় ও সামাজিক সমালোচনার মুখে পড়েছে।
আপনার মতামত লিখুন