
বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন নিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তীব্র বিরোধিতা ও আপত্তি জানানো হয়েছে। সংগঠনের আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, “এই দেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ। এখানে ইসলামি মূল্যবোধে হস্তক্ষেপ কোনোমতেই বরদাশত করা হবে না।”
শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত “শাপলা ও চব্বিশের শহীদদের স্মরণে দোয়া ও আলোচনা মাহফিল”-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হেফাজতের ঢাকা মহানগর শাখা।
আল্লামা বাবুনগরী বলেন,
“জাতিসংঘের নামে বাংলাদেশে পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ও ইসলামি রীতিনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। অতীতে আমরা দেখেছি, এইসব সংস্থা পারিবারিক আইন, শরিয়াহ এবং সামাজিক মূল্যবোধে হস্তক্ষেপ করেছে। বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় খুলতে দেয়া হবে না। প্রয়োজনে রাস্তায় নামবো।”
তিনি আরও বলেন,
“সমকামিতার মতো বিকৃত ধারণা সমাজে অবক্ষয় ডেকে আনে। ইসলাম নারী-পুরুষের স্বাভাবিক পরিচয় ও বৈধ বিবাহের ধারাই গ্রহণযোগ্য বলে মনে করে।”
মাহফিলে উপস্থিত হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান বলেন,
“মানবাধিকার মানে প্রকৃত পরিচয় ও ধর্ম অনুযায়ী মর্যাদা রক্ষা। নারীকে মা, মেয়ে, বোন ও স্ত্রী হিসেবে সম্মান করতে হবে, পশ্চিমা সংস্কৃতি চাপিয়ে নয়। বিদেশি চুক্তির আড়ালে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ধ্বংস মেনে নেয়া যাবে না।”
মাওলানা মামুনুল হক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,
“দেশের স্বাধীনতা ও ইসলামি মূল্যবোধের বিরুদ্ধে কোনো আন্তর্জাতিক আগ্রাসন হলে ঈমানদার জনতা রাজপথে নেমে প্রতিরোধ গড়বে। প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”
সভায় হেফাজতের নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন,
“জাতীয় স্বার্থ, ধর্মীয় অনুভূতি ও সামাজিক স্থিতির কথা বিবেচনায় রেখে জাতিসংঘ মানবাধিকার দফতরের অনুমোদন বাতিল করা হোক। এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন।”
সভাপতির ভাষণে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব বলেন,
“দেশের ভেতরে ও বাইরে ষড়যন্ত্র চলছে। বিশ্বাসঘাতক গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে রুখে দিতে হবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী জুলাই ঐক্যকে শক্তিশালী করে এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে আয়োজিত এই দোয়া মাহফিলে আহতদের জন্য প্রার্থনা ও শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল হামিদ, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মাওলানা সালাহউদ্দিন, দফতর সম্পাদক মাওলানা আফসার মাহমুদ, মুফতি জাবের কাসেমী, মুফতি আজহারুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৬ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন নিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তীব্র বিরোধিতা ও আপত্তি জানানো হয়েছে। সংগঠনের আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, “এই দেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ। এখানে ইসলামি মূল্যবোধে হস্তক্ষেপ কোনোমতেই বরদাশত করা হবে না।”
শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত “শাপলা ও চব্বিশের শহীদদের স্মরণে দোয়া ও আলোচনা মাহফিল”-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হেফাজতের ঢাকা মহানগর শাখা।
আল্লামা বাবুনগরী বলেন,
“জাতিসংঘের নামে বাংলাদেশে পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ও ইসলামি রীতিনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। অতীতে আমরা দেখেছি, এইসব সংস্থা পারিবারিক আইন, শরিয়াহ এবং সামাজিক মূল্যবোধে হস্তক্ষেপ করেছে। বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় খুলতে দেয়া হবে না। প্রয়োজনে রাস্তায় নামবো।”
তিনি আরও বলেন,
“সমকামিতার মতো বিকৃত ধারণা সমাজে অবক্ষয় ডেকে আনে। ইসলাম নারী-পুরুষের স্বাভাবিক পরিচয় ও বৈধ বিবাহের ধারাই গ্রহণযোগ্য বলে মনে করে।”
মাহফিলে উপস্থিত হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান বলেন,
“মানবাধিকার মানে প্রকৃত পরিচয় ও ধর্ম অনুযায়ী মর্যাদা রক্ষা। নারীকে মা, মেয়ে, বোন ও স্ত্রী হিসেবে সম্মান করতে হবে, পশ্চিমা সংস্কৃতি চাপিয়ে নয়। বিদেশি চুক্তির আড়ালে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ধ্বংস মেনে নেয়া যাবে না।”
মাওলানা মামুনুল হক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,
“দেশের স্বাধীনতা ও ইসলামি মূল্যবোধের বিরুদ্ধে কোনো আন্তর্জাতিক আগ্রাসন হলে ঈমানদার জনতা রাজপথে নেমে প্রতিরোধ গড়বে। প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”
সভায় হেফাজতের নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন,
“জাতীয় স্বার্থ, ধর্মীয় অনুভূতি ও সামাজিক স্থিতির কথা বিবেচনায় রেখে জাতিসংঘ মানবাধিকার দফতরের অনুমোদন বাতিল করা হোক। এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন।”
সভাপতির ভাষণে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব বলেন,
“দেশের ভেতরে ও বাইরে ষড়যন্ত্র চলছে। বিশ্বাসঘাতক গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে রুখে দিতে হবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী জুলাই ঐক্যকে শক্তিশালী করে এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে আয়োজিত এই দোয়া মাহফিলে আহতদের জন্য প্রার্থনা ও শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল হামিদ, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মাওলানা সালাহউদ্দিন, দফতর সম্পাদক মাওলানা আফসার মাহমুদ, মুফতি জাবের কাসেমী, মুফতি আজহারুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
আপনার মতামত লিখুন