
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার দিলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. গোলাম কিবরিয়া নভেলের বিরুদ্ধে কোটি টাকার দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ৯ জন ইউপি সদস্য লিখিতভাবে এই অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সম্প্রতি ইউনিয়নের ৯ ইউপি সদস্য স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া নভেল তার মেয়াদকালে ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি এবং এলজিএসপি প্রকল্পসহ নানা খাতে কোটি টাকার অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন। অর্থ আত্মসাৎ, ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে টাকা উত্তোলন, কাজ না করেই বিল উত্তোলনসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগকারীদের দাবি, এসব অনিয়মের কারণে ইউনিয়নবাসী যথাযথ সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং পরিষদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
অভিযোগকারী ইউপি সদস্যরা দাবি করেছেন, বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে প্রমাণিত হলে সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাদের ভাষায়, "ইউনিয়নের অর্থ জনগণের সম্পদ। কেউ তা ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করলে তার জবাবদিহি হতেই হবে।"
এ বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান মো. গোলাম কিবরিয়া নভেলের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, তারা প্রয়োজন হলে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রমাণ উপস্থাপন করবেন।
বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় অনুসন্ধানের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রেরণ করা হবে। তদন্তের স্বার্থে এখনই বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।
জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে কোনো জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ শুধু তার নয়, গোটা প্রশাসনিক ব্যবস্থার ওপরই আস্থা সংকট তৈরি করে। তাই দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন সময়ের দাবি।
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৭ জুলাই ২০২৫
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার দিলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. গোলাম কিবরিয়া নভেলের বিরুদ্ধে কোটি টাকার দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ৯ জন ইউপি সদস্য লিখিতভাবে এই অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সম্প্রতি ইউনিয়নের ৯ ইউপি সদস্য স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া নভেল তার মেয়াদকালে ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি এবং এলজিএসপি প্রকল্পসহ নানা খাতে কোটি টাকার অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন। অর্থ আত্মসাৎ, ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে টাকা উত্তোলন, কাজ না করেই বিল উত্তোলনসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগকারীদের দাবি, এসব অনিয়মের কারণে ইউনিয়নবাসী যথাযথ সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং পরিষদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
অভিযোগকারী ইউপি সদস্যরা দাবি করেছেন, বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে প্রমাণিত হলে সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাদের ভাষায়, "ইউনিয়নের অর্থ জনগণের সম্পদ। কেউ তা ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করলে তার জবাবদিহি হতেই হবে।"
এ বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান মো. গোলাম কিবরিয়া নভেলের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, তারা প্রয়োজন হলে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রমাণ উপস্থাপন করবেন।
বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় অনুসন্ধানের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রেরণ করা হবে। তদন্তের স্বার্থে এখনই বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।
জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে কোনো জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ শুধু তার নয়, গোটা প্রশাসনিক ব্যবস্থার ওপরই আস্থা সংকট তৈরি করে। তাই দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন সময়ের দাবি।
আপনার মতামত লিখুন