
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর পদযাত্রা ঘিরে চাঞ্চল্যকর এক হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সদর উপজেলা। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উলপুর-দুর্গাপুর সড়কের খাটিয়াগড় চরপাড়া এলাকায় পুলিশের একটি গাড়িতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আহম্মেদ বিশ্বাস ও গাড়িচালক কাউসার।
চোখের সামনে ঘটে যাওয়া এই ভয়াবহ ঘটনার বর্ণনায় স্থানীয়রা জানান, গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির একটি টহল দল সকালের দিকে রুটিন মোতাবেক টহল দিচ্ছিল। ঠিক সেই সময় ছাত্রলীগের একটি বিক্ষিপ্ত দল অতর্কিতে তাদের ঘিরে ধরে, গালিগালাজ করে এবং ইটপাটকেল ছুড়ে হামলা চালায়। এরপর এক পর্যায়ে তারা পুলিশের গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পুলিশ জানায়, হামলার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ এবং এপিবিএন-এর টিম। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে হামলাকারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয় দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় এবং সাধারণ মানুষ নিরাপদে সরে যায়। গোটা এলাকা ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে, বুধবার বেলা ১১টায় গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে এনসিপির ঘোষিত পদযাত্রা ও জনসমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই পদযাত্রা ঘিরে উত্তেজনা ছড়াতেই ছাত্রলীগ এই সহিংস হামলা চালিয়েছে।
উল্লেখ্য, ছাত্রলীগকে সম্প্রতি সরকার ‘নিষিদ্ধ সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। সরকারের দাবি, এই সংগঠন বারবার সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলার জন্ম দিচ্ছে, যা দেশের শান্তি-শৃঙ্খলার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঘটনার পর গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “এই কাপুরুষোচিত হামলার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, ভিডিও ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুত তাদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে। পুলিশের ওপর হামলা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হামলার শামিল।”
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা গেছে।
বিষয় : এনসিপি পুলিশ ছাত্রলীগ হামলা নাহিদ ইসলাম
রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ১৬ জুলাই ২০২৫
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর পদযাত্রা ঘিরে চাঞ্চল্যকর এক হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সদর উপজেলা। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উলপুর-দুর্গাপুর সড়কের খাটিয়াগড় চরপাড়া এলাকায় পুলিশের একটি গাড়িতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আহম্মেদ বিশ্বাস ও গাড়িচালক কাউসার।
চোখের সামনে ঘটে যাওয়া এই ভয়াবহ ঘটনার বর্ণনায় স্থানীয়রা জানান, গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির একটি টহল দল সকালের দিকে রুটিন মোতাবেক টহল দিচ্ছিল। ঠিক সেই সময় ছাত্রলীগের একটি বিক্ষিপ্ত দল অতর্কিতে তাদের ঘিরে ধরে, গালিগালাজ করে এবং ইটপাটকেল ছুড়ে হামলা চালায়। এরপর এক পর্যায়ে তারা পুলিশের গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পুলিশ জানায়, হামলার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ এবং এপিবিএন-এর টিম। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে হামলাকারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয় দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় এবং সাধারণ মানুষ নিরাপদে সরে যায়। গোটা এলাকা ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে, বুধবার বেলা ১১টায় গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে এনসিপির ঘোষিত পদযাত্রা ও জনসমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই পদযাত্রা ঘিরে উত্তেজনা ছড়াতেই ছাত্রলীগ এই সহিংস হামলা চালিয়েছে।
উল্লেখ্য, ছাত্রলীগকে সম্প্রতি সরকার ‘নিষিদ্ধ সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। সরকারের দাবি, এই সংগঠন বারবার সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলার জন্ম দিচ্ছে, যা দেশের শান্তি-শৃঙ্খলার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঘটনার পর গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “এই কাপুরুষোচিত হামলার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, ভিডিও ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুত তাদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে। পুলিশের ওপর হামলা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হামলার শামিল।”
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা গেছে।
আপনার মতামত লিখুন