
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার বলিয়াদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেমকে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তিনি একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে বিদেশ যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে পৌঁছালে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে তার বিরুদ্ধে সক্রিয় ওয়ারেন্ট থাকার ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়।
সূত্র জানায়, আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে, যার মধ্যে কিছু দুদকের দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগ ও স্থানীয়ভাবে জমি দখল এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি এলাকায় অনুপস্থিত ছিলেন এবং গোপনে দেশত্যাগের চেষ্টা করছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আটকের পর তাকে বিমানবন্দর থানা পুলিশের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হতে পারে। প্রয়োজন হলে তাকে বাজিতপুর থানায় হস্তান্তর করে জেলা আদালতে তোলা হবে।
আবুল কাশেমের আটকের খবরে বাজিতপুরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ এটিকে আইনের বিজয় বলে প্রশংসা করছেন। এলাকাতে তিনি AK-47 নামেও পরিচিত ছিলেন। স্থানীয় রাজনীতিতে এক সময় প্রভাবশালী এই ব্যক্তির গ্রেপ্তারের ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে তার এলাকায় উৎসব পালন করছেন এলাকাবাসী।
যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত অভিযোগ প্রকাশ করা হয়নি, তবে এই ঘটনা স্পষ্ট করে দিচ্ছে—প্রাক্তন জনপ্রতিনিধিরাও আইনের ঊর্ধ্বে নন। গ্রেপ্তার পরবর্তী তদন্তে আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা মিললে তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া কঠোর হতে পারে। বিষয়টি বাজিতপুর তথা কিশোরগঞ্জের স্থানীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিতবাহী হয়ে উঠেছে।
রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৯ জুলাই ২০২৫
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার বলিয়াদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেমকে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তিনি একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে বিদেশ যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে পৌঁছালে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে তার বিরুদ্ধে সক্রিয় ওয়ারেন্ট থাকার ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়।
সূত্র জানায়, আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে, যার মধ্যে কিছু দুদকের দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগ ও স্থানীয়ভাবে জমি দখল এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি এলাকায় অনুপস্থিত ছিলেন এবং গোপনে দেশত্যাগের চেষ্টা করছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আটকের পর তাকে বিমানবন্দর থানা পুলিশের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হতে পারে। প্রয়োজন হলে তাকে বাজিতপুর থানায় হস্তান্তর করে জেলা আদালতে তোলা হবে।
আবুল কাশেমের আটকের খবরে বাজিতপুরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ এটিকে আইনের বিজয় বলে প্রশংসা করছেন। এলাকাতে তিনি AK-47 নামেও পরিচিত ছিলেন। স্থানীয় রাজনীতিতে এক সময় প্রভাবশালী এই ব্যক্তির গ্রেপ্তারের ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে তার এলাকায় উৎসব পালন করছেন এলাকাবাসী।
যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত অভিযোগ প্রকাশ করা হয়নি, তবে এই ঘটনা স্পষ্ট করে দিচ্ছে—প্রাক্তন জনপ্রতিনিধিরাও আইনের ঊর্ধ্বে নন। গ্রেপ্তার পরবর্তী তদন্তে আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা মিললে তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া কঠোর হতে পারে। বিষয়টি বাজিতপুর তথা কিশোরগঞ্জের স্থানীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিতবাহী হয়ে উঠেছে।
আপনার মতামত লিখুন