
‘হাওরের দ্বার’ হিসেবে খ্যাত বাজিতপুরকে জেলা ঘোষণার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বাজিতপুরের জেলা হওয়া প্রসঙ্গে ইতিহাস, ভৌগোলিক অবস্থান, জনসংখ্যা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ নানাদিক তুলে ধরেন বক্তারা।
বাজিতপুর জেলা বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে আয়োজিত এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সমন্বয়ক ও বাজিতপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তফাজ্জল হোসেন বাদল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ড. রাস বিহারী ঘোষ, চার্লস টাউন অধ্যাপক ও কমিটির চেয়ারম্যান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন:
এরফানুল হক নাহিদ, বিএফইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকাস্থ কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি
মো. তাজুল ইসলাম, বাজিতপুরের সাবেক চেয়ারম্যান
জহিরুজ্জামান জহির, সাবেক ছাত্রনেতা
জসিম মাহমুদ, বাজিতপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক
বদরুল আলম শিপু, সাবেক ছাত্রনেতা
শাহরিয়ার শামীম, বিএনপি নেতা
আব্দুল্লাহ আল বোরহান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী
বক্তারা জানান, ১৮৬৯ সালে পৌরসভা ঘোষণা এবং ১৯১২ সালে মহকুমা ঘোষণার লক্ষ্যে ২০০ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার। যদিও ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ায় সেই প্রক্রিয়া থেমে যায়।
ব্রিটিশ আমলে ১৮৩৪ সালে সাত থানার দেওয়ানি আদালত স্থাপিত হয় বাজিতপুরে। এর মধ্যে ভৈরব, কুলিয়ারচর, নিকলী, অষ্টগ্রাম ও বাজিতপুর থানার চৌরি আদালত এখনো কার্যকর। বাজিতপুর ১৮৩৫ সালেই থানা হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
পাকিস্তান আমলে বাজিতপুরের সরার চরে একটি এয়ারট্রিপ তৈরি হয় হাওরাঞ্চলের কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে। উপজেলায় একটি মাঝারি কারাগার, জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, এবং জহুরুল ইসলাম নার্সিং ইনস্টিটিউট এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন বক্তারা।
বক্তারা বলেন, বাজিতপুরের এমন সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সুবিধাজনক অবস্থান থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব, নেতৃত্ব সংকট ও প্রশাসনিক সমন্বয়ের ঘাটতির কারণে এই অঞ্চল এখনো জেলায় উন্নীত হয়নি। তারা দাবি করেন, বাজিতপুরকে জেলা ঘোষণা করা হলে হাওর অঞ্চলের ছয়-সাতটি উপজেলার লাখ লাখ মানুষ হয়রানি ও দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবেন।
অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম বলেন,
“বাজিতপুরকে জেলায় রূপান্তর করা শতবর্ষের ন্যায্য দাবি। এ দাবির পক্ষে চলা দীর্ঘ আন্দোলনে আমরা ছিলাম, আছি এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত থাকব।”
বক্তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, বাজিতপুরকে দ্রুত জেলা ঘোষণার মাধ্যমে হাওরাঞ্চলের উন্নয়ন ও মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০২ আগস্ট ২০২৫
‘হাওরের দ্বার’ হিসেবে খ্যাত বাজিতপুরকে জেলা ঘোষণার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বাজিতপুরের জেলা হওয়া প্রসঙ্গে ইতিহাস, ভৌগোলিক অবস্থান, জনসংখ্যা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ নানাদিক তুলে ধরেন বক্তারা।
বাজিতপুর জেলা বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে আয়োজিত এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সমন্বয়ক ও বাজিতপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তফাজ্জল হোসেন বাদল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ড. রাস বিহারী ঘোষ, চার্লস টাউন অধ্যাপক ও কমিটির চেয়ারম্যান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন:
এরফানুল হক নাহিদ, বিএফইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকাস্থ কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি
মো. তাজুল ইসলাম, বাজিতপুরের সাবেক চেয়ারম্যান
জহিরুজ্জামান জহির, সাবেক ছাত্রনেতা
জসিম মাহমুদ, বাজিতপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক
বদরুল আলম শিপু, সাবেক ছাত্রনেতা
শাহরিয়ার শামীম, বিএনপি নেতা
আব্দুল্লাহ আল বোরহান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী
বক্তারা জানান, ১৮৬৯ সালে পৌরসভা ঘোষণা এবং ১৯১২ সালে মহকুমা ঘোষণার লক্ষ্যে ২০০ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার। যদিও ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ায় সেই প্রক্রিয়া থেমে যায়।
ব্রিটিশ আমলে ১৮৩৪ সালে সাত থানার দেওয়ানি আদালত স্থাপিত হয় বাজিতপুরে। এর মধ্যে ভৈরব, কুলিয়ারচর, নিকলী, অষ্টগ্রাম ও বাজিতপুর থানার চৌরি আদালত এখনো কার্যকর। বাজিতপুর ১৮৩৫ সালেই থানা হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
পাকিস্তান আমলে বাজিতপুরের সরার চরে একটি এয়ারট্রিপ তৈরি হয় হাওরাঞ্চলের কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে। উপজেলায় একটি মাঝারি কারাগার, জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, এবং জহুরুল ইসলাম নার্সিং ইনস্টিটিউট এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন বক্তারা।
বক্তারা বলেন, বাজিতপুরের এমন সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সুবিধাজনক অবস্থান থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব, নেতৃত্ব সংকট ও প্রশাসনিক সমন্বয়ের ঘাটতির কারণে এই অঞ্চল এখনো জেলায় উন্নীত হয়নি। তারা দাবি করেন, বাজিতপুরকে জেলা ঘোষণা করা হলে হাওর অঞ্চলের ছয়-সাতটি উপজেলার লাখ লাখ মানুষ হয়রানি ও দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবেন।
অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম বলেন,
“বাজিতপুরকে জেলায় রূপান্তর করা শতবর্ষের ন্যায্য দাবি। এ দাবির পক্ষে চলা দীর্ঘ আন্দোলনে আমরা ছিলাম, আছি এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত থাকব।”
বক্তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, বাজিতপুরকে দ্রুত জেলা ঘোষণার মাধ্যমে হাওরাঞ্চলের উন্নয়ন ও মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
আপনার মতামত লিখুন