সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
বাজিতপুর নিউজ

কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে কে পাচ্ছেন বিএনপির মনোনয়ন?

কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে কে পাচ্ছেন বিএনপির মনোনয়ন?

কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে কে পাচ্ছেন বিএনপির মনোনয়ন? ধানের শীষ কার হাতে— শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল না এহসানুল হুদা?

কিশোরগঞ্জ-৫ আসন (বাজিতপুর-নিকলী) বিএনপি ও এর শরিক দলগুলোর জন্য এবার সবচেয়ে আলোচিত আসনগুলোর একটি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন নিয়ে এখন জোর আলোচনা চলছে শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল ও সৈয়দ এহসানুল হুদাকে ঘিরে।

দীর্ঘদিন ধরে এই আসনে আওয়ামী লীগ আধিপত্য বজায় রাখলেও গত কয়েক বছরে স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপি ও জোটের রাজনৈতিক তৎপরতা বেড়েছে। সংগঠন পুনর্গঠন, গ্রামভিত্তিক কমিটি গঠন, এবং তরুণ কর্মীদের সক্রিয়তায় দল নতুনভাবে মাঠে ফিরেছে। ফলে মনোনয়ন নিয়ে প্রতিযোগিতা এবার বেশ তীব্র।

শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল বর্তমানে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনেও ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন। দীর্ঘদিন এলাকার রাজনীতিতে যুক্ত থাকায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বেশি। স্থানীয় পর্যায়ে তিনি আন্দোলন ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন, যা তাঁকে এ আসনের অন্যতম শক্তিশালী মনোনয়নপ্রত্যাশী করে তুলেছে।

অন্যদিকে সৈয়দ এহসানুল হুদা বাংলাদেশ জাতীয় দল এর চেয়ারম্যান এবং ১২-দলীয় জোটের সমন্বয়ক। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট রাজনীতিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তাঁর দলীয় অবস্থান ও জোটের সমন্বয়ক পদ তাঁকে মনোনয়ন দৌড়ে শক্ত অবস্থানে রেখেছে। তবে স্থানীয় পর্যায়ে তিনি তুলনামূলকভাবে নতুন মুখ হওয়ায় তৃণমূল পর্যায়ে সমর্থনভিত্তি গড়ে তোলার কাজ এখনো চলমান।

বিএনপি সূত্রে জানা যায়, জোট রাজনীতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য এই আসনে শরিক দলের প্রার্থী দেওয়ার আলোচনা চলছে। তবে তৃণমূল বিএনপি নেতাদের একটি বড় অংশ মনে করছে, স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় ও অভিজ্ঞ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়া হলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা জোরালো হবে।

এদিকে, সৈয়দ এহসানুল হুদা সমর্থিত অংশ বলছে, জোটের অংশ হিসেবে তাঁর মনোনয়ন নিশ্চিত হলে কেন্দ্রীয় সহায়তায় তিনি শক্ত লড়াই দিতে পারবেন। তিনি ইতিমধ্যে বাজিতপুর ও নিকলীতে কয়েকটি গণসংযোগ কর্মসূচি করেছেন এবং স্থানীয়ভাবে জোটের ব্যানারে সমর্থন গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন।

দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মতে, এখনো কোনো আসনের মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়নি। কেন্দ্র থেকে মাঠপর্যায়ের রিপোর্ট নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে গণসমর্থন, সংগঠন শক্তি, এবং জোটের সমন্বয় বিবেচনায় এনে মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল বর্তমানে জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে আছেন। তবে জোটের রাজনৈতিক সমীকরণে সৈয়দ এহসানুল হুদার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। শেষ মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে ধানের শীষের প্রতীক কার হাতে উঠবে।

স্থানীয়ভাবে এখন প্রশ্ন একটাই—বাজিতপুর-নিকলীর মাঠে এবার বিএনপির পতাকা কার হাতে উড়বে? শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল, না সৈয়দ এহসানুল হুদা? সময়ই দেবে এর উত্তর।

বিষয় : বাজিতপুর কিশোরগঞ্জ রাজনীতি বিএনপি মনোনয়ন

আপনার মতামত লিখুন

বাজিতপুর নিউজ

সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫


কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে কে পাচ্ছেন বিএনপির মনোনয়ন?

প্রকাশের তারিখ : ২৬ অক্টোবর ২০২৫

featured Image

কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে কে পাচ্ছেন বিএনপির মনোনয়ন? ধানের শীষ কার হাতে— শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল না এহসানুল হুদা?

কিশোরগঞ্জ-৫ আসন (বাজিতপুর-নিকলী) বিএনপি ও এর শরিক দলগুলোর জন্য এবার সবচেয়ে আলোচিত আসনগুলোর একটি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন নিয়ে এখন জোর আলোচনা চলছে শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল ও সৈয়দ এহসানুল হুদাকে ঘিরে।

দীর্ঘদিন ধরে এই আসনে আওয়ামী লীগ আধিপত্য বজায় রাখলেও গত কয়েক বছরে স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপি ও জোটের রাজনৈতিক তৎপরতা বেড়েছে। সংগঠন পুনর্গঠন, গ্রামভিত্তিক কমিটি গঠন, এবং তরুণ কর্মীদের সক্রিয়তায় দল নতুনভাবে মাঠে ফিরেছে। ফলে মনোনয়ন নিয়ে প্রতিযোগিতা এবার বেশ তীব্র।

শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল বর্তমানে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনেও ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন। দীর্ঘদিন এলাকার রাজনীতিতে যুক্ত থাকায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বেশি। স্থানীয় পর্যায়ে তিনি আন্দোলন ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন, যা তাঁকে এ আসনের অন্যতম শক্তিশালী মনোনয়নপ্রত্যাশী করে তুলেছে।

অন্যদিকে সৈয়দ এহসানুল হুদা বাংলাদেশ জাতীয় দল এর চেয়ারম্যান এবং ১২-দলীয় জোটের সমন্বয়ক। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট রাজনীতিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তাঁর দলীয় অবস্থান ও জোটের সমন্বয়ক পদ তাঁকে মনোনয়ন দৌড়ে শক্ত অবস্থানে রেখেছে। তবে স্থানীয় পর্যায়ে তিনি তুলনামূলকভাবে নতুন মুখ হওয়ায় তৃণমূল পর্যায়ে সমর্থনভিত্তি গড়ে তোলার কাজ এখনো চলমান।

বিএনপি সূত্রে জানা যায়, জোট রাজনীতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য এই আসনে শরিক দলের প্রার্থী দেওয়ার আলোচনা চলছে। তবে তৃণমূল বিএনপি নেতাদের একটি বড় অংশ মনে করছে, স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় ও অভিজ্ঞ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়া হলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা জোরালো হবে।

এদিকে, সৈয়দ এহসানুল হুদা সমর্থিত অংশ বলছে, জোটের অংশ হিসেবে তাঁর মনোনয়ন নিশ্চিত হলে কেন্দ্রীয় সহায়তায় তিনি শক্ত লড়াই দিতে পারবেন। তিনি ইতিমধ্যে বাজিতপুর ও নিকলীতে কয়েকটি গণসংযোগ কর্মসূচি করেছেন এবং স্থানীয়ভাবে জোটের ব্যানারে সমর্থন গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন।

দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মতে, এখনো কোনো আসনের মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়নি। কেন্দ্র থেকে মাঠপর্যায়ের রিপোর্ট নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে গণসমর্থন, সংগঠন শক্তি, এবং জোটের সমন্বয় বিবেচনায় এনে মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল বর্তমানে জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে আছেন। তবে জোটের রাজনৈতিক সমীকরণে সৈয়দ এহসানুল হুদার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। শেষ মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে ধানের শীষের প্রতীক কার হাতে উঠবে।

স্থানীয়ভাবে এখন প্রশ্ন একটাই—বাজিতপুর-নিকলীর মাঠে এবার বিএনপির পতাকা কার হাতে উড়বে? শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল, না সৈয়দ এহসানুল হুদা? সময়ই দেবে এর উত্তর।


বাজিতপুর নিউজ

প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ মোশিউর রহমান আতিক | নির্বাহী সম্পাদক: মোহাম্মদ খলিলুর রহমান
কপিরাইট © ২০২৫ বাজিতপুর নিউজ । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত