মিথ্যা মামলা ও ইসলামবিদ্বেষী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ২৫ জুলাই
বাংলাদেশে ইসলামপ্রিয় নাগরিক ও সুপরিচিত ইসলামী ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে মিথ্যা জঙ্গি মামলার প্রতিবাদ এবং জনপরিসরে ইসলামের অবস্থান সংকুচিত করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে উত্তাল হয়ে উঠছে ইসলামপন্থী ছাত্র ও জনতার মনোভূমি।এই প্রেক্ষাপটে আগামী ২৫ জুলাই, শুক্রবার, বাদ জুমা আয়োজিত হতে যাচ্ছে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল।বিক্ষোভটি অনুষ্ঠিত হবে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে—আফতাব উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ-এর সামনে থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করার সম্ভাবনা রয়েছে।আয়োজক: তাওহিদি ছাত্র-জনতা—একটি সচেতন, ইসলামপন্থী যুব ও ছাত্রভিত্তিক সংগঠন, যারা দীর্ঘদিন ধরে ইসলামী মূল্যবোধ, স্বাধীন মতপ্রকাশ এবং ধর্মীয় অধিকার রক্ষার লক্ষ্যে মাঠে সক্রিয়।বিক্ষোভের পেছনে রয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ইসলামিক ব্যক্তিত্ব, ধর্মীয় স্কলার এবং সাধারণ ধর্মপ্রাণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে দায়েরকৃত বিতর্কিত মামলাগুলো।সংগঠনটির দাবি, এসব মামলা উদ্দেশ্যমূলক, ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক ও মতাদর্শিকভাবে প্রণোদিত, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে—ইসলামের শান্তিপূর্ণ ও বৈধ প্রকাশকে রুদ্ধ করা এবং ধর্মভিত্তিক চিন্তাশীল নাগরিকদের সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করা।তাওহিদি ছাত্র-জনতা এক বিবৃতিতে জানায়,> “শুধুমাত্র ইসলামকে ভালোবাসা এবং দ্বীনের দাওয়াতকে বুকে ধারণ করার কারণে কেউ যেন ‘জঙ্গি’ তকমায় কলঙ্কিত না হয়—এই ন্যায্য দাবিতেই আমরা রাজপথে নামছি। যারা ইসলামের অপব্যাখ্যা ছড়িয়ে সাধারণ মুসলমানদের আতঙ্কিত করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার সময় এখনই।বক্তারা দাবি করছেন, ইসলামি পোশাক, ইসলামি শব্দ ব্যবহার, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের চলাফেরা এমনকি শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় আলোচনা—সব কিছুকেই পরিকল্পিতভাবে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ বা রাষ্ট্রবিরোধিতার সঙ্গে মিলিয়ে ফেলার অপচেষ্টা চলছে।এই প্রবণতা শুধু ধর্মীয় স্বাধীনতাকে নয়, সংবিধানস্বীকৃত নাগরিক অধিকারকেও চরমভাবে ক্ষুণ্ন করছে।বিক্ষোভের দিন যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে, সেজন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে বলেও জানা গেছে। আয়োজকেরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, এই কর্মসূচি কোনো রাজনৈতিক দলের ছায়ায় নয়—সম্পূর্ণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আত্মবিকারের অংশ হিসেবে তারা রাজপথে নামছেন।এই সমাবেশ থেকে আয়োজকরা রাষ্ট্র, প্রশাসন এবং দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একটি বার্তা দিতে চায়—“ইসলামকে ভালোবাসা অপরাধ নয়, বরং দেশের নৈতিক ভিত্তিকে রক্ষা করার অন্যতম চাবিকাঠি।”তারা আহ্বান জানিয়েছে, ধর্মীয় গোঁড়ামি নয় বরং, ইসলামবিদ্বেষী বর্ণচোরা ষড়যন্ত্র ও ধর্মপ্রাণ মানুষের হয়রানির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতেই সবাই যেন পাশে দাঁড়ায়।