রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
বাজিতপুর নিউজ

থানায় শাড়ি-চুড়ি নিয়ে যাওয়ার পর ভৈরবে ছিনতাইকারী সন্দেহে গ্রেপ্তার ২২

ভৈরবে ছিনতাই, চুরি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে সাধারণ মানুষ অভিনব কায়দায় প্রতিবাদ জানালেন। গতকাল শনিবার বিকেলে শতাধিক স্থানীয় জনতা থানায় গিয়ে শাড়ি ও চুড়ি নিয়ে পুলিশের প্রতি ব্যর্থতার প্রতীকী প্রতিবাদ জানান। এই ব্যতিক্রমী প্রতিবাদের পর নড়েচড়ে বসে থানা প্রশাসন।প্রতিবাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ ছিনতাই, চুরি ও অন্যান্য অপরাধে জড়িত সন্দেহে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে।গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন:মো. হেলাল (২৫), রায়হান উদ্দিন (২০), সবুজ মিয়া (২৩), মো. নাঈম (২৩), আরাফাত মিয়া (৩৩), ওসমান মিয়া (১৮), সোহেল মিয়া (২৮), ফুল মিয়া (৩৬), মো. হৃদয় (২৫), রনি মিয়া (৩২), বিল্লাল মিয়া (২০), সানি মিয়া (৩৩), মো. বিজয় (২৮), সুমন (২০), মাহিন মিয়া (২১), নামিন উদ্দিন (২০), মনির হোসেন (২৮), ফরহাদ মিয়া (২৫), মো. আকাশ (৩২), গোলাম মোস্তুফা (৪২), জনি মিয়া (২৬) ও দুলাল (৪৫)।পুলিশ বলছে—“ধরা হচ্ছে, কিন্তু জেল হচ্ছে না”ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফুহাদ রুহানী বলেন, “ছিনতাই যেমন হচ্ছে, তেমনি ধরাও হচ্ছে। কিন্তু বড় সমস্যা হলো, ধৃত অপরাধীরা বেশিদিন জেলে থাকে না। আমাদের কষ্টের ফল আসে না। জনগণের সক্রিয়তা থাকলে ছিনতাই রোধ সম্ভব।” প্রতিবাদের অন্যতম উদ্যোক্তা আজহারুল ইসলাম জানান, “পুলিশ চাইলে পারে। জনগণ রাস্তায় না নামলে তারা নড়ত না। আমরা সেটা প্রমাণ করেছি।” বিক্ষুব্ধ জনতা ওসি ফুহাদ রুহানীকে তিন দিনের সময়সীমা দিয়েছেন ভৈরবকে ছিনতাইমুক্ত করতে। প্রথম দিনেই শহরে কোনো ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শবনম শারমিন বলেন, “পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রধান সড়কগুলো সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। ছিনতাই রোধে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।” স্থানীয়রা বলছেন, দাবি পূরণ না হলে আবারও থানাঘেরাও কর্মসূচি চালু করা হবে। এই প্রতিবাদ প্রমাণ করলো যে, সচেতন নাগরিকের সংগঠিত অবস্থানই পারে প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপে বাধ্য করতে। প্রশাসনের দায়িত্ব যেমন অপরাধ দমন, তেমনি জনগণের দায়িত্বও হলো তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা।

থানায় শাড়ি-চুড়ি নিয়ে যাওয়ার পর ভৈরবে ছিনতাইকারী সন্দেহে গ্রেপ্তার ২২