জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে কিশোরগঞ্জে শীর্ষে বাজিতপুর উপজেলা
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে ধারাবাহিক সাফল্য ধরে রেখে কিশোরগঞ্জ জেলার মধ্যে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে বাজিতপুর উপজেলা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত কয়েক মাসে প্রথম এবং কয়েক মাসে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে বাজিতপুর উপজেলা প্রশাসন একটি অনন্য নজির স্থাপন করেছে।এই সাফল্যের পেছনে মূল অবদান রেখেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারাশিদ বিন এনাম-এর দিকনির্দেশনায় চালু হওয়া 'বাজিতপুর মডেল'। এ মডেলের আওতায় উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদসমূহ সমন্বিতভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য ও প্রয়োজনীয় কাগজ সংগ্রহ করে নিবন্ধন সম্পন্ন করে এবং সরাসরি বাড়িতে সনদ পৌঁছে দেয়।২০২৪ সালের ডিসেম্বর, ২০২৫ সালের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মে ও জুন মাসে বাজিতপুর উপজেলা প্রথম স্থান এবং মার্চ ও এপ্রিল মাসে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে।ইউএনও ফারাশিদ বিন এনাম বলেন, “জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্মনিবন্ধন এবং মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যুনিবন্ধন শতভাগ নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। কর্মকর্তারা দায়িত্বশীলভাবে কাজ করায় ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে।”তিনি আরও বলেন, “এই সাফল্য প্রমাণ করে সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে যেকোনো লক্ষ্য অর্জন সম্ভব। আমরা বাজিতপুরকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।”বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সমিতি কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মো. মাইন উদ্দিন বলেন, “জন্ম তারিখসংবলিত জন্মসনদ একজন নাগরিকের অধিকার। এটি বিভিন্ন সরকারি সেবা গ্রহণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জ জেলার ১০৮টি ইউনিয়নের মধ্যে বাজিতপুর উপজেলার ৫ নম্বর হালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ ২০২৪ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে।বাজিতপুরের এই অভাবনীয় সাফল্য নিঃসন্দেহে অন্য উপজেলার জন্য অনুকরণীয়। নাগরিকসেবাকে দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে যে আন্তরিকতা প্রয়োজন, বাজিতপুর তার বাস্তব উদাহরণ।