বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
বাজিতপুর নিউজ

হোসেনপুরে প্রধান শিক্ষকের লাঠির আঘাতে আহত কলেজের প্রভাষক

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর সরকারি মডেল পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এ এস এম জহির রায়হান কর্তৃক একই প্রতিষ্ঠানের কলেজ শাখার আইসিটি বিভাগের প্রভাষক দ্বীন ইসলামকে লাঠি দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সমাজ।সোমবার (২৪ জুন) দুপুর ১২টায় প্রতিষ্ঠানের মূল ফটকের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেন কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ। বক্তারা অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের দ্রুত অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।ঘটনার সূত্রপাত ঘটে গত রোববার দুপুরে বেতন-বোনাস সংক্রান্ত বিষয়ে। কথাবার্তার একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে প্রধান শিক্ষক জহির রায়হান প্রভাষক দ্বীন ইসলামকে লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন। আহত প্রভাষক বর্তমানে বিশ্রামে রয়েছেন।মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, জহির রায়হান দীর্ঘদিন ধরেই সার্টিফিকেট বাণিজ্য, আর্থিক অনিয়ম, অতিরিক্ত ফি আদায়, এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রেখেছেন। তার বিরুদ্ধে স্থানীয় পত্রিকায় একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ হয়েছে। এমনকি, স্কুলের দোকানগুলো আওয়ামীপন্থী ক্যাডারদের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।সাম্প্রতিক সময়ে এক সাংবাদিককে ‘নিউজ করেছো কেন’ এই অভিযোগে হুমকি দেওয়া এবং মারধরের পরিকল্পনার কথাও উঠে এসেছে মানববন্ধনে। বক্তারা বলেন, বারবার অভিযোগ করেও প্রতিকার পাওয়া যায় না, কারণ অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রভাবশালী মহলের ছত্রচ্ছায়ায় আছেন।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলা বিভাগের প্রভাষক শফিকুল ইসলাম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শাহ আবুল হাসিম, হোসেনপুর আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সদস্য মোশাররফ হোসেন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম, এবং পুমদি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া শ্যামল।বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, “একজন শিক্ষক যখন অন্য শিক্ষককে লাঠি দিয়ে পেটান, তখন সে আর শিক্ষক থাকে না—সে হয় একজন সন্ত্রাসী।” তারা দাবি জানান, দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্তকে অপসারণ এবং আইনের আওতায় এনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সম্মান রক্ষা করতে হবে। ঘটনার পরও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে, যা জনমনে আরও ক্ষোভ সৃষ্টি করছে। স্থানীয়রা বলেন, যদি অবিলম্বে এই ঘটনার বিচার না হয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।

হোসেনপুরে প্রধান শিক্ষকের লাঠির আঘাতে আহত কলেজের প্রভাষক